কক্সবাজার আর্ন্তজাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য-শিক্ষাবিদ গবেষক অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কাসেম বলেছেন, গবেষণাকে অধিকতর প্রমোট করছে চট্টগ্রাম একাডেমি। আমার গবেষণা কাজগুলোকে তারা বিবেচনায় নিয়ে আমাকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন। এজন্য চট্টগ্রাম একাডেমিকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরো বলেন, যে দেশের গবেষণা যত উন্নত সে দেশ ততবেশি সমৃদ্ধ। সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য গবেষণার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। গবেষণার জন্য যথেষ্ট ধৈর্য, পরিশ্রম ও অনুসন্ধান করতে হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমিই প্রথমই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে গবেষণার জন্য গিয়েছিলাম। এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বীকৃতি দেয়নি। আমার মাধ্যমেই গবেষণার ক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
আজ শনিবার চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে শিক্ষাবিদ ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে ও সাহিত্যিক রাশেদ রউফ-এর পরিচালনায় প্রবন্ধ-গবেষণায় ‘চট্টগ্রাম একাডেমি-শিল্পশৈলী পুরস্কার’ গ্রহণকালে তিনি এ কথা বলেন। পুরস্কার হিসেবে তাঁকে সম্মাননা স্মারক, সনদ ও নগদ সম্মানী প্রদান করা হয়।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক মো. আবুল কাসেম বলেন, যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, কাজ তো করে যেতে হবে। ভবিষ্যৎ মানুষকে বোঝাতে হবে, আগে গবেষণা করে সত্যটা জানতে হবে। তিনি বলেন, গবেষণা এমন ভারী বিষয় নয় যে, আন্তরিকতার সঙ্গে নিবিড়ভাবে নিবিষ্টমনে চেষ্টা করলে আয়ত্তে আনা যাবে না। পুঙ্খানুপুঙ্খ সত্য নিখুঁতভাবে জানতে পারলে কোনো বড় কাজই কঠিন থাকে না। জ্ঞানই বাতলে দেয় সমাধানের পথ। আমরা যদি ধৈর্যকে সম্বল করে যথাযথ পরিমাণ সময় নিয়ে কোন বিষয়কে বুঝতে চেষ্টা করি, সে অনুযায়ী দেশের যাবতীয় সমস্যার মোকাবেলা করি, দেশ উন্নত না হয়ে যাবে কোথায়!
অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর রীতা দত্ত, শিল্পশৈলী সম্পাদক প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ, বেতার ব্যক্তিত্ব ফজল হোসেন, নাট্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সনজীব বড়ুয়া, চিকিৎসাবিজ্ঞানী প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, অভিনেতা-লেখক অশোক বড়ুয়া, কবি-গীতিকার জসিম উদ্দিন খান, ছড়াশৈলী সম্পাদক কাসেম আলী রানা, গবেষক ড. সেলিম জাহাঙ্গীর, কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, লেখক জাহাঙ্গীর মিঞা, কবি শারুদ নিজাম, প্রাবন্ধিক রেজাউল করিম স্বপন, প্রাবন্ধিক এস এম মোখলেসুর রহমান, প্রাবন্ধিক-অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর, অনুবাদক ফারজানা রহমান শিমু প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাবন্ধিক এসএম আবদুল আজিজ।
‘চট্টগ্রাম একাডেমি-শিল্পশৈলী পুরস্কার’ গ্রহণকালে ড. আবুল কাসেম
গবেষণার জন্য যথেষ্ট ধৈর্য, পরিশ্রম ও অনুসন্ধান করতে হয়
অনলাইন ডেস্ক