সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডস্থ দরবখার বাড়ীর নুরুল আলম গং ও নাছিমা বেগম গংদের মধ্যে মৌরশী সম্পত্তি ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিয়ে চলে আসা দ্বন্ধ চরম আকার ধারণ করেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর মৌজার বিএস নং-৩১৩৩৬, ৩১৩৩৮, ৩১৩৩৯, ৩১৩৪০ দাগের ১১৫২০ ও ১৬৯২ খতিয়ানভুক্ত ১৪ কড়া জমি মৌরশী ও ক্রয়কৃত মালিকানাধীন এবং দখলীয় জমির দাবীদার কুয়েত প্রবাসী নুরুল আলম। নুরুল আলমের দাবী তাদের ৩০/০১/২০২০ সালে ৪৫৯/২০২০ নম্বর রেজিষ্ট্রি সাফ কবলা দলিল মূলে ৭ একর জমি খরিদ করে মালিক ও দখলদার আছেন। যা ১১৫২১নং নামজারী খতিয়ানে খতিয়ানভুক্ত। কিন্তু তার প্রতিপক্ষ নাছিমা বেগমের লোকজন গত ০৫/০৩/২০২৩ তারিখে নুরুল আলমের উক্ত জমি জবর দখল করার চেষ্টা করে।
তাতে বাঁধা দিলে নুরুল আলম ও তার এসএসসি পরীক্ষার্থী পুত্র নজরুল ইসলাম নাদিম চেয়ারম্যানের লোকজনের হাতে মারধরের শিকার হন বলে অভযোগ করেন তারা। এতে নুরুল আলমের ছেলে নজরুলের হাত ভেঙ্গে যায় এবং নুরুল আলম মাথায় আঘাত পান। পরে তারা স্থানীয় মেডিকেলে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় সন্দ্বীপ থানায় ০৫/০৪/২০২৩ তারিখ একটি অভিযোগ দেয়া হয়। কিন্তু বিরোধের কোন সুরাহা হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ এপ্রিল শনিবার বেলা ১টায় সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবে প্রবাসী নুরুল আলমের পরিবারের পক্ষ হতে তার সন্তান মোঃ নজরুল ইসলাম কর্তৃক আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন-আমাদের পরিবারের উপর তাদের প্রতিপক্ষ নাছিমা বেগমের পক্ষ হতে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম প্রকাশ্য দলবল নিয়ে আমাদের জায়গায় দখল প্রচেষ্টা চালায়। আমাদের দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলে এবং জোর পূর্বক আমাদের দোকান ভিটায় মাটি ফেলে। আমার ভাই কুয়েত প্রবাসী নেছার এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে আইসিটি ধারায় একটি মামলাও দায়ের করেন। আমাকে এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে দেন নাই। বাড়ী-ঘরে পুলিশ পাঠিয়ে আমাদের এলাকা ছাড়া করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের পরিবারের পক্ষ হতে নাদিম চেয়ারম্যানের এহেন ন্যাককারজনক পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা রেখে একটি সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করবে এই আশা প্রত্যাশা করেন। এদিকে মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম এই প্রতিবেদককে বলেন-নাছিমা বেগম তার আত্মীয় হন। সঙ্গত কারণেই তার আত্মীয়ের সঙ্গে দ্বন্ধ নিরসনে চেয়ারম্যান হিসেবে তার একটি ভূমিকা রয়েছে তিনি সেটাই চেষ্টা করেছিলেন।
নুরুল আলমের ছেলে নেছারের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা দিয়েছেন বলে তিনি তা স্বীকার করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আনিত অন্যান্য অভিযোগ তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি এ প্রতিবেদককে জোর দিয়ে বলেন-অন্যায় তিনি করেন না, আর অন্যায় তিনি সহ্য ও করেন না। কাগজপত্র বা দলিল যার জমি তার একথাও তিনি অকপটে স্বীকার করেন। তিনি বলেন-তার আত্মীয় নাছিমা বেগমের ভূমিতেই গাছ কেটে তিনি মাটি ফেলেছেন। প্রয়োজনে তিনি তার প্রতিপক্ষ নুরুল আলমদের কাগজপত্র নিয়ে বসারও আহবান রাখেন। সাংবাদিক সম্মেলনে নুরুল আলমের ভুক্তভোগী পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছে বলে প্রবাসী নুরুল আলমের সন্তান নজরুল ইসলাম দাবী করেন। এ জন্য তিনি প্রশাসনের আইনী সহায়তাও কামনা করেন।