সন্দ্বীপ পৌরসভা কর্তৃক ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্নিঝড়ে নিহতদের স্মরণে,স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম।সভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাষ্টার দেলোয়ার হোসেন।ভয়াবহ ঘূর্নিঝড়ে সেদিন যে প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয় ঘটেছিলো,নিহত হয়েছিলো অনেকের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা, এছাড়াও তৎকালীন খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে মানুষ যে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে, সে সমস্ত বিষয় তুলে ধরে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল মাওলা,সিপিপির ইউনিট লিডার মোঃ জসিম উদ্দিন,পৌর কাউন্সিলর আলাউদ্দিন বাবলু।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র ২ মোঃ আবু তাহের,সাবেক কাউন্সিলর মোবারক হোসেন,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ বেলাল,পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ফয়সাল উদ্দিন,শ্রমিক লীগের সভাপতি শেখ সাহেদ,যুবলীগ নেতা মোঃ মুনসুর সহ আরো অনেকে। সভায় স্মৃতিতে আবেগতাড়িত হয়ে বক্তারা বলেন ১৯৯১ সালের এইদিনে স্মরণাতীতকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে বিলীন হয়ে যায় চট্টগ্রামের উপকূলীয় বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই ভয়াল স্মৃতি আজও কাঁদায় উপকূলবাসীকে।ঐদিন সন্দ্বীপের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে,মৃত্যুবরন করে লক্ষাধীক গরু,মহিষ,ছাগল, ভেড়া। কোটি কোটি টাকার মৎস্য সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যায়।আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে হাজার হাজার পরিবার।ধ্বংস হয়ে যায় রাস্তা, ঘাট, পোল, কালভার্ট, গাছপালা সহ হাজার কোটি টাকার সম্পদ। প্রিয়জনদের হারিয়ে অনেকে মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে,পুরো পরিবার হারিয়ে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয়।দেখা দেয় খাদ্য ও ঔষধের সংকট, তাই দূর্যোগ পরবর্তীও বিভিন্ন অসুখে এবং খাদ্যাভাবে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। সে ভয়াল সময়ে সাবেক সাংসদ দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমান ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন বলে তিনি দ্বীপবন্ধু উপাধী পেয়েছেন। সে সময়ে ওনার অবদান ইতিহাসে অমলিন হয়ে থাকবে।আমরা সে সময়ে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।