নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ না করা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে অ্যাসিডিটির সমস্যা নতুন কিছু নয়। অ্যাসিডিটির জন্য গলা ও বুক ব্যথা করে। অনেক সময় বেশ ভুগতে হয়। এ জন্য কেউ কেউ অ্যান্টাসিডসহ নানা ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন। ওষুধে সাময়িক সময়ের জন্য সমাধান হলেও পরে ঠিকই জেগে উঠে অ্যাসিডিটির সমস্যা।
অ্যাসিডিটির কারণে অন্যান্যও অসুখও হয়ে থাকে। তবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবার তাহলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি জেনে নেয়া যাক—
মৌরি: অ্যান্টি আলসার উপাদান রয়েছে এতে। এছাড়া আয়রন, কপার, পটাসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম উপাদান রয়েছে। নিয়মিত এটি খাওয়ার ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হয়। আবার অ্যাসিডিটির সমস্যায়ও উপকার পাওয়া যায়। আর দীর্ঘ মেয়াদি উপকার পেতে কিছু ফুটিয়ে রেখে পরদিন যখন সমস্যা হবে তখন পান করতে পারেন।
ঠাণ্ডা দুধ: দুধে ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা অ্যাসিড তৈরি করতে বাধা প্রদান করে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত উৎপাদিত অ্যাসিড শোষণ করে। এ জন্য অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঠাণ্ডা দুধ পান করতে পারেন। তবে এর সঙ্গে চিনি মেশানো যাবে না। আর ভালো উপকার পেতে দুধের সঙ্গে এক চামচ ঘি যোগ করতে পারেন।
আদা: এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে উপকারী একটি উপাদান। মুখের লালা বা স্যালাইডা উৎপাদন করে থাকে। মিউকাস নিঃসরণ বৃদ্ধি করে আলসার থেকেও পাকস্থলীকে রক্ষা করে আদা। এ কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ছোট ছোট টুকরো করে আদা খেতে পারেন।
লবঙ্গ: এটি মুখে অতিরিক্ত লাভা নিঃসরণে সহযোগিতা করে। ফলে হজমে সাহায্য হওয়ার পাশাপাশি অ্যাসিডিটি দূর হয়। যদি অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় তাহলে মুখে লবঙ্গ নিয়ে কামড়ে নিন, যাতে এর রস বের হয়। তারপর মুখে রেখে দিন। এভাবে লবঙ্গের রস ধীরে ধীরে অ্যাসিডের প্রভাব কমিয়ে থাকে।
কলা: পটাশিয়ামের সমৃদ্ধ কলা ফল নিয়মিত খেলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের উৎপাদন মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। এর কিছু উপাদান পাকস্থলীতে মিউকাসের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। যা অ্যাসিডি উৎপাদনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আপনাকে রক্ষা করে। তাই অ্যাসিডিটি থেকে কিছুটা উপকার পাওয়ার জন্য পাকা কলা খেতে পারেন।