পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ভারত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সমীন্তবর্তী ফটিকছড়ির বাজারগুলোতে কোরবানি পশুর হাট জমে উঠেছে। উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বাগানজার।একদিকে ভারত অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের রামগড় উপজেলার সীমান্তবর্তী বাগানবাজার ইউনিয়নের ফেনী নদী সংলগ্ন অবস্থিত এ বাজার। শুক্রবার হাটের দিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,প্রায় ১কিলোমিটার রাস্তায় সারি সারি গরু। কোথাও পা পেলার লেশমাত্র জায়গা নেই। ক্রেতা-বিক্রেতা ও উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভীড়। গরু উঠানামায়ও কোন খরচ নেই। কত কেজি গরু তা আধুনিক মেশিনে মেপে নেয়ার সু-ব্যবস্থাও রয়েছে এ বাজারে। নাজিরহাট থেকে বাগানবাজরে গরু নিতে আসা ফোরকান বলেন,এ বাজারে বেশি গরু উঠে শুনে দেখতে আসলাম,পছন্দ হলে ক্রয় করে নিয়ে যাব। হাটহাজারী উপজেলা থেকে গরু কিনতে আসা সাদেক জানান, আমি মানুষের মুখে শুনে প্রথমবার এ হাটে এসেছি। ৯০ হাজার টাকায় একটি ষাঁড় গরু নিয়েছি। গরু এবং দাম নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে দেশীয় জাতের সব সাইজের গরু এখানে দেখেছি। রামগড় থেকে আসা গরু বিক্রেতা খায়ের আহমেদ জানান, তিনি বাড়িতে গরু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে ৪টি গরু বড় করেছে। যা এবার কোরবানিতে বিক্রি করবে। দাম উঠেছে। তবে একটু দাম বেশি পাওয়ার আশায় তিনি এখনো গরু বিক্রি করেননি। বেপারী ওইচ্চিকু মারমা জানান, সারাবছর গরু বেচাকেনা করি এ বাজারে।
শুক্রবারের বাজারে ১২টি গরু নিয়ে এসেছে এবং ৭টা বিক্রি করে দিয়েছে। দাম নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। এ বাজার ছাড়াও ভারত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সীমান্তবর্তী চিকনছড়া,হেঁয়াকো,দাঁতমারা,শান্তিরহাটসহ,নারায়নহাট,কাজিরহাট,চামার দীঘি পাড়,কাঞ্চননগর চৌমুহনী বাজারসহ বিভিন্ন পশুর হাটে দেখা যায় প্রচুর পরিমাণ গরু ছাগল আসছে। স্থানীয় গৃৃহস্থিদের লালিত পালিত গরু ছাগলের পাশাপাশি বেপারীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু নিয়ে আসছে। অন্যান্য এলাকার বেপারীরাও এসব বাজার থেকে গরু ছাগল সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে। ক্রেতা বিক্রেতার সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে এসব বাজার।