আগামীকাল ২১ মে ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০ মে সকাল ৯ টা থেকে নির্বাচনী মালামাল কেন্দ্রে পৌঁছানো হচ্ছে। এবং ২১ মে নির্বাচনের দিন ভোর ৪ টায় উপজেলা পরিষদ থেকে ব্যালট পেপার বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যানুযায়ী, ফটিকছড়ি উপজেলা মোট ভোটার সংখ্যা ৪লক্ষ ৬৪হাজার ৬শত ৭ জন। পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২লক্ষ ৪৫হাজার ৯শত ৩৮ জন।মহিলা ভোটার সংখ্যা ২লক্ষ ১৮হাজার ৬শত ৬৭ জন। হিজরা সংখ্যা ২ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৪২টি।
প্রত্যেক কেন্দ্রকে অতি গুরত্বপূর্ণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। বোথ ১হাজার ২টি।প্রিসাইডিং কর্মকর্তা১ শত ৪২ জন।সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ১ হাজার ২ জন। পুলিং কর্মকর্তা ২ হাজার ৪ জন । র্যাব ১পাল্টুন,বিজিবি ৬পাল্টুন, পুলিশ ১ হাজার,আনসার ২ হাজার,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-২৬ জন, বিজিবি স্টাইকিং ফোর্সেস, পুলিশ স্টাইকিং ফোর্সেস মাঠে কাজ করবেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এর জন্য নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বলেও জানান তিনি। নির্বাচনে লড়ছেন ৮ জন প্রার্থী।
চেয়ারম্যান পদে ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী (মোটরসাইকেল) প্রতিক এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্র নেতা মুহাস্মদ বখতেয়ার সাঈদ ইরান (আনারস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা (প্রজাপতি) ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন আক্তার নুপুর (ফুটবল) নিয়ে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট সালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন (বই) , ফটিকছড়ি পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জসিম উদ্দিন (টিউবওয়েল), সৈয়দ জাহেদুল্লাহ কৌরাইশী (তালা) ও নাজিমুদ্দিন সিদ্দিকী (চশমা) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। ১৯ মে ছিল প্রচারণার শেষ দিন। বিরামহীন প্রচারণার শেষ দিনে ভোটারদের মন জয়ে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালায় প্রার্থীরা। সারাদিন বৃষ্টির মাঝে ছাতা মাথায় নিয়ে প্রার্থীরা প্রচারনা চালাতে দেখা যায়। ভোটারদের মন জয়ে গণসংযোগ ও প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছুড়ে প্রার্থীরা।
বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের পক্ষে নেতাকর্মীরা ও আত্মীয় স্বজনরা প্রচারণা চালায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমও পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহবান করছে। ভোটাররাও তাদের হিসাব নিকাষের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অপেক্ষার প্রহর গুণছে পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার। এখন অপেক্ষারপালা বিজয়ের মালা কারা পড়তে যাচ্ছেন?