নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীরা দুজনকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করার পর তাঁদের সেখান থেকে তুলে নিয়ে মাসদাইর এলাকায় তাঁদের বাড়ীর সামনে নিয়ে আবারও আঘাত করে ফেলে রেখে যায়।পরে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন।নিহতের নাম আলামিন ওরফে দানিয়েল (২৮)।আহত যুবকের নাম শুভ (২২)।
নিহত আল আমিন ওরফে দানিয়াল (২৮) ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় দেলোয়ার মিয়ার ছেলে।আর আহত শুভ (২২) একই এলাকার শাহজালালের ছেলে। তাদের মধ্য দানিয়াল অটোরিকশা গ্যারেজের ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত ছিল আর শুভ একটি কারখানার মেশিন অপারেটর।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সোয়া ১১টার দিকে নগরীর চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় প্রকাশ্যে ওই দুই যুবককে কুপিয়ে আহত করে কয়েকজন যুবক।পরে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।এরপর ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় আহতদের বাড়ির সামনে নিয়ে তাদের আবার আঘাত করে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দানিয়ালকে মৃত ঘোষণা করেন।গুরুতর আহত অবস্থায় শুভকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।নিহত দানিয়েল ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।আর শুভকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নিহতের লাশ নিয়ে আহাজারি করতে থাকা তার মা মুক্তা বেগম এ প্রতিনিধিকে জানান,বাড়ির পাশে দানিয়ালকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে ছোট ছেলে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে দেখি দানিয়াল মারা গেছে। তিনি বলেন,দানিয়ালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।তার সাথে স্থানীয় অনিকদের বিরোধ চলছিল। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে,আমি তাদের শাস্তি চাই।
নিহতের স্ত্রী রাত্রি আক্তার জানান,গত দুই বছর আগে তার সাথে দানিয়ালের বিয়ে হয়।এরই মধ্যে কয়েকমাস ধরে তারা আলাদা বাসা নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে দানিয়াল তার বন্ধু শুভকে নিয়ে চাষাঢ়া ঘুরতে যায়।কিছুক্ষণ পরেই ফিরে আসে লাশ হয়ে। ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসলিম আহমেদ জানান,বেশ কিছুদিন আগে ওই এলাকার রমুর নাতি হিসেবে পরিচিত অনিকও তার লোকজনের সাথে নিহতের মারামারি ঘটনা ঘটে।রমু ওই এলাকায় শীর্ষ মাদক কারবারি।আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তার সাথে বিরোধকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে দানিয়ালের ওপর হামলা হয় বলে ধারণা করছেন তাঁরা।
ঘটনার পরপরই গতরাতেই পুলিশ রমুকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। নিহত দানিয়েলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।