যুক্তরাষ্ট্রসহ মোট নয়টি দেশ মিয়ানমারে বেসামরিক জনগণের ওপর অব্যাহত সহিংসতা এবং সেনাবাহিনীর দমন নীতির প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে ।
গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার প্রকাশিত ঐ বিবৃতিতে দেশটির বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা বন্ধ করতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতি আহবান জানানো হয়। আমরা বেসামরিক মানুষের উপর চলমান সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাই।বিশেষ করে তাদের উপর সামরিক বাহিনীর এলোপাথাড়ি বিমান হামলার।আলোচ্য ওই বিবৃতিতে বলা হয়। ইকুয়েডর, ফ্রান্স, জাপান, মাল্টা, দক্ষিণ কোরিয়া, স্লোভেনিয়া, সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে ঐ বিবৃতি দেয়। এতে বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার একান্ত আলোচনা করার কথা রয়েছে।সেখানে দেশটির সংকট নিরসনে আসিয়ানের সভাপতি লাওসের পরিকল্পনার কথা জানাবেন বিশেষ দূত আলুনকিও কিত্তিখোন। বিবৃতিতে বিশেষ ভাবে রাখাইন রাজ্যের অবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সে অঞ্চলে অবিলম্বে মানবিক সাহায্য দেবার আহবান জানানো হয়।সেখানে রোহিঙ্গা বাসিন্দারা কয়েক দশক ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
মিয়ানমারে নির্যাতনের জেরে দশ লক্ষের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে অবস্থান করছে।বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ফেরার উপর জোর দেয়া হয়। উদ্বাস্তু এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, সম্মানের সাথে ফিরতে পারে, তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার উপর আমরা বিশেষ জোর দিচ্ছি,বিবৃতিতে বলা হয়। তিন বছর আগে এই মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সে দেশের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল।বর্তমানে দেশটির এক কোটি আশি লাখ মানুষের মানবিক সাহায্য প্রয়োজন,২৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত।
একই সাথে বিবৃতিতে কারাবন্দী নেত্রী অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তির আহবান জানানো হয়েছে।আসিয়ান জোট মিয়ানমারকে যে পাঁচটি শর্ত পূরণ করতে বলেছে,সে ব্যাপারে বিবৃতিতে পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করা হয়।
সূত্র:- এএফপি ও ভয়েস অফ আমেরিকা।