সাময়িক যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী বুধবার গাজা ভূখণ্ডে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে।গাজা শহরেও হামলা চালিয়েছে তারা।সামরিক বাহিনী বলছে,স্থল অভিযানের সময় তারা সেখানে ১৫ জন জঙ্গিকেও হত্যা করেছে। গাজার দক্ষিনাঞ্চলের প্রধান শহর খান ইউনিসে অসংখ্য বিমান হামলা এবং প্রচণ্ড লড়াইয়ের খবর জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের পাল্টা হামলার পর থেকে হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ হাজার ৯০০ জনে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার কায়রো সফরের কথা রয়েছে। আলোচনায় গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি উভয়ই অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার হানিয়া বলেন,হামাস যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা পর্যালোচনা করছে।গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য হামাসের দীর্ঘদিনের দাবির ওপর জোর দিচ্ছেন তিনি। হানিয়া বলেন,“গাজার ওপর অন্যায় আগ্রাসনের অবসান ঘটানো এবং দখলদার বাহিনীকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয়ার ব্যবস্থা করাই এখন অগ্রাধিকার পাবে”। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরাইল তার লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত গাজা থেকে পুরোপুরি সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া সম্ভব নয়। হামাসকে পুরোপূরি নির্মূল করার অঙ্গীকার করেছেন নেতানিয়াহু। যাতে ভবিষ্যতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আর কোন হামলা চালাতে না পারে তা নিশ্চিত করতে চান তিনি।
প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, কাতার ও মিশরীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর সম্ভাব্য নতুন চুক্তির রূপরেখা তৈরি করা হয়। নভেম্বরে সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে প্রায় শতাধিক ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে আটক ২৪০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পায়। হামাসের হাতে এখনো আরও ১০০ জন জিম্মি আটক রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। সূত্র:-এএফপি,রয়টার্স ও ভয়েস অফ আমেরিকা