পরিকল্পনা সাঁজাতে বিএনপির বিশেষ কিছু প্রবাসী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সাথে প্রয়োজনের ভিত্তিতে শরিক দলের কয়েকজন নেতাও বিদেশী লবিংয়ে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।পাঠকের ভুলে যাবার কথা নয়,নুরুল হক নুরের ইসরায়েলি এজেন্ট কেলেঙ্কারির কথা।আমাদের দেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত তথ্য প্রমান সহ নূরের ইহুদী লবিংয়ের কথা প্রকাশ করেছিলেন।পরবর্তী সময়ে কয়েকটি মিডিয়াও তা বিশদ তুলে ধরে খবর প্রকাশ করে।একটি সরকারকে উৎখাত করতে কতোটা নীচে তাঁরা নেমেছিলেন।আশ্চর্য না হয়ে পারিনি,আমাদের দেশের ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল,বিশাল ভক্তকূল সমৃদ্ধ ইসলামী বক্তা,পীর,মাশায়েখ,মুফতি,আলেম সমাজ বা আমাদের সুশীল সমাজের ভেতর থেকে কোন আওয়াজ ওঠেনি নূরের বিরুদ্ধে।কেনো? এমনকি সরকারও মোসাদের ভয়ে ভীত হয়ে প্রমানীত দেশদ্রোহীর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।একথা অনস্বীকার্য,রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে সকল ক্ষমতাসীনদেরই নানাবিধ বাঁধা বিপত্তি,চোখ রাঙানী, বিরোধী দলের সবকিছুতে বিরোধিতা সহ অনেক কিছু মোকাবেলা করেই এগুতে হয়।যাঁর অনেক কথাই মানুষ ও মিডিয়ার অজানা থেকে যায়। সদ্যগত সরকারের তো বটে,এই বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে,দেশের নেতৃত্বে একজন “শেখ হাসিনা”আছেন।তাঁর দূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণের সময়োপযোগী বিবেচনাবোধ আর সর্বোপরি পিতার মাঝে থাকা দেশ ও মানুষের জন্য কল্যানকামী আন্তরিক মমত্ববোধটা তাঁর মাঝে পুরোপুরি ক্রিয়াশীল থাকার সৃষ্টিকর্তার খেয়ালী নিদর্শন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান তিনি তৈরী করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন বলেই
মন্তব্য প্রতিবেদন
পশ্চিমা রাজনৈতিক খেলার “শিকার”কে আওয়ামী লীগ না-কি বিএনপি নিজেই?
গত ২৮ অক্টোবর এক “স্লোগান”-এর এক প্রতিবেদনে লিখেছিলাম,আমেরিকা যতোই সরকার বিরোধী আচরণ করুক না কেনো,শেষ পর্যন্ত আগামী নির্বাচন যথাসময়েই হবে,আর নির্বাচনের পর বিএনপিকে প্রথম আঘাতটি আমেরিকাই করবে। পাঠক,আসুন একটু হিসাব মিলিয়ে বের করতে চেষ্টা করি,আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমাদের রাজনৈতিক খেলায় আসল শিকার কারা?পিটার হাস আসলে কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নে নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতার মতো আচরণ করেছিলেন? বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিগত ছয় মাসে কয়েকটি শব্দ খুবই পরিচিত হয়ে উঠেছিলো।
যেমন,পিটার হাস, ভিসা নিষেধাজ্ঞা,সরকার পতনের ডেটলাইন,ব্লিংকেন ইত্যাদি।শব্দগুলো সবই সদ্যগত মেয়াদের সরকারের বিরুদ্ধচারনের জন্য আম জনতার নিকট পরিচিত হয়ে উঠেছিল। প্রসঙ্গক্রমে আমি আমাদের রাজনৈতিক দল ও কিছু নেতৃবৃন্দের গোপনীয় কর্মকান্ডের বিবরণ তুলে ধরছি। প্রথমতঃ বিএনপির কুটনৈতিক লবিং নিয়ে বলছি।এই দলটিতে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব এতোটাই প্রকট যে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মিত্র তৈরীতে তাঁদের একমাত্র কৌশল ছিলো বেহিসেবী টাকার বিনিয়োগ।শুধু বিদেশি লবিষ্ট নিয়োগেই নয়,দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকেও তাঁরা টাকার বিনিময়েই সক্রিয় করেছিলো। যেমন,তথাকথিত সাংবাদিক ইলিয়াস গং,যাঁরা অজ্ঞাত স্থান থেকে ৯৯ শতাংশ মিথ্যায় সাঁজানো চিত্রনাট্য তৈরী করে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করে গেছে ক্লান্তিহীন ভাবে দিনের পর দিন ধরে। এই জাতির এতোটাই দূর্ভাগ্য যে,বিএনপির টাকার কাছে নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছিলেন সুশীল নামধারী কিছু ব্যক্তি।
অথচ একটা জাতি তাঁর সকল ন্যায়সঙ্গত প্রয়োজনে,বিপথগামী সমাজ বা গোষ্ঠীকে সঠিক পথ দেখাতে,দেশ ও মানুষের স্বার্থে উচ্চকণ্ঠ হতে,তা সে যতো প্রবল প্রতিপক্ষই হোকনা কেনো,এই সুশীল সমাজের উপর নির্ভর করে থাকে।হাতেগোনা কয়েকজন বাদে বিগত এক দশকে কেবলমাত্র ভোটের মৌসুম ছাড়া ঐ সকল বিক্রিত সুশীলদের কোন বিষয়ে কোন প্রকার তৎপরতা আপনি দূরবিন দিয়েও খুঁজে পাবেন না। আমি সবিনয়ে বিকৃতির শিকার হওয়া সুশীলদের নিকট জানতে চাই,শুধুমাত্র রাজনৈতিক দল বিশেষ করে সরকারী দলের ছিদ্র বা গন্ধ অন্বেষণ করাই কি সুশীল সমাজের দায়িত্ব?যদি তাই হতো,তাহলে তো আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ইউরোপ আমেরিকার সমমানের হওয়ার কথা ছিলো। তারপর জানতে চাই তাঁদের নিকট ও একইসাথে পাঠক আপনার কাছেও,আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম কি?”শেখ হাসিনা আর আওয়ামীলীগ”? নিশ্চয়ই নয়।তাহলে গত এক দশক ধরে ভোটের মৌসুম এলেই কেনো ঐ সুশীলগণ জাতির কাছে বারবার “রাজনীতিই হলো বাংলাদেশের এক নম্বর সমস্যা” প্রতিষ্ঠা করতে আদাজল খেয়ে মাঠে থেকেছেন,গোপনে বিদেশী প্রভূদের ভুল বার্তা পাঠিয়ে বিভ্রান্ত করার মতো ঘৃন্য কাজে লিপ্ত থেকেছেন? আমি নিতান্তই অতি সাধারণ একজন।ম্যাংগো পিপলের অংশ মাত্র।আমি প্রমান করে দিতে পারি,একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে আমাদের বিক্রিত সুশীলদের বিকৃতির দরুন বাংলাদেশ অপূরনীয় ক্ষতির শিকার হয়ে গেছে।আমাদের আস্ত একটি প্রজন্ম মিশ্র সংস্কৃতির, দেশপ্রেমশূন্য,মিথ্যাশ্রয়ী,জীবন ঘনিষ্ঠ কিছু বিষয়ের চিরাচরিত সংজ্ঞা বদলে পুরোপুরি বিকৃত মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠেছে শুধুমাত্র এইসব সুশীলরা শীত নিদ্রায় ছিলেন বলে। বিশদভাবে বলতে গেলে মূল প্রসঙ্গ থেকে দূরে চলে যেতে হবে তাই আগামী কোন লেখায় এনিয়ে বিস্তারিত লিখবো আশা করছি। পাঠক,খেয়াল করে দেখুন,বিএনপি নেতৃত্বাধীন প্রায় ৬০ টির মতো রাজনৈতিক দলের সবাই এটি জানতেন যে, সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব নয় তাদের পক্ষে।কেননা মানুষ এখন আর গোয়েবলেসীয় তত্বে প্রভাবিত হবার মতো বোকা নেই।(১৯৯০ এর নির্বাচনে ঐ ফাটকা কাজ করেছিলো।আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে দেশ ইন্ডিয়ার কাছে বেচে দিবে,সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ উঠিয়ে দিবে,মসজিদে মসজিদে উলুধ্বনি বাজবে, এইসকল মিথ্যাচার ছড়িয়ে দিয়ে ঐ একবারই ভোটের বৈতরণী পার হওয়া গেছে।মানুষ খুব কম সময়ের মধ্যেই বুঝে গিয়েছিলো,তাঁদের ধর্মিয় অনুভূতি নিয়ে কি নোংরা খেলাটাই না খেলেছিলো তৎকালীন বিএনপি জামাতের নেতৃত্ব।) তাই সরকারকে সরানোর একমাত্র মাধ্যম ছিলো বিদেশী প্রভূদের হস্তক্ষেপ।সেই পরিকল্পনা সাঁজাতে বিলিয়ন ডলার খরচ করে হান্টার বাইডেন(কথিত) থেকে আমাদের উপরোল্লিখিত বিক্রিত সুশীল পর্যন্ত কিনে নিয়ে এতোটাই নিশ্চিত ছিলেন তাঁরা,বারবার আওয়ামী লীগ পালানোর রাস্তা পাবেনা,পুলিশ তথা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্ল্যাকলিষ্ট তৈরী সহ ক্ষমতায় এসে প্রতিশোধ মিশন বাস্তবায়নের সকল আয়োজন সম্পন্ন করে এনেছিলেন।