হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরপরই রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটের ভাটাগুলোকে আর্থিক জরিমানা করে নোটিশ টাঙিয়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে মামলার বাদী হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদের মাধ্যমে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
এদিকে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ইট ভাটা পরিচালনা করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। রাঙামাটির লংগদু উপজেলা সদরে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনে-দুপুরেই ইটভাটা চালু রেখে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন জনৈক নাসির উদ্দিন। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেছেন লংগদু উপজেলার ইউএনও অফিস।
ইউএনওর নির্দেশে সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ মাসুদ রানার নেতৃত্বে পরিচালিত উক্ত অভিযানে লংগদু’র আটারকছড়া ইউনিয়নের বামেছড়া নামক এলাকায় জনৈক নাসিরের ইটভাটা চালু অবস্থায় দেখে সেখানে তাৎক্ষনিকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় ইটভাটার মালিককে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার পাশাপাশি ভাটা ড্রামের দুটি চুল্লি ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ অনুযায়ী নগদ অর্থদণ্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, এবং ইট ভাটার চুল্লী ধবংস করে ইটভাটাতে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
এসময় লংগদু থানার এএসআই সাঈদুর রহমানসহ পুলিশ ও ইউএনও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণের পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।