রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হঠাৎ কাল বৈশাখী জড়ো হাওয়া গাছ পালা উপরে পড়ে বিদ্যুৎ এর খুটি ভেঙ্গে তার ছিড়ে বহু গ্রামে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে বেশ কিছু এলাকা। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা-বাড়িতে প্রাত্যহিক কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির পাশাপাশি পানির জন্য চলছে হাহাকার। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ে নিয়মিত কাজ-কর্মে অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
অনেকের মুঠোফোনে চার্জ না থাকায় যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরো দুদিন সময় লাগতে পারে।
ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রোববার ৫ মে সকলে সোমবার (৬ মে) বিকেলে কাল বৈশাখী ঝড়ে গাছ পড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে যায়। এরপর থেকে পুরো রাঙ্গুনিয়া বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। রাতে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হলেও বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরের দিকে উপজেলার সদর, শান্তিরহাটসহ দুয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হলেও মদ্য বেতাগী চম্পাতলী এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে এই এলাকায় খাওয়ার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে অনেকেই মোটর ভাড়ায় এনে খাওয়ার পানি তুলতে বাধ্য হচ্ছে এই এলাকায় কবে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে জানেন কেউ পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক সাথে একাধিক স্থানে বিদ্যুতের খু্ঁটি ভেঙ্গে পড়া ও তাঁর ছিঁড়ে যাওয়ার কারনে পর্যায়ক্রমে কাজ করতে হচ্ছে। তাছাড়া লোকবলও কম। ভুক্তভোগী গ্রাহক রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার দক্ষিণ সৈয়দবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. দিদার বলেন, ” রোববার থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ঘরে ঘরে ফ্রিজের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে ফেলে দিতে হচ্ছে। ব্যবহার ও খাবার পানি সংকটে অনেকেই দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট বলে বুঝানো যাবেনা।
পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে যোগাযোগ করেও কখন বিদ্যুৎ আসবে বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা। ” কোদালা ইউনিয়নের সন্দ্বীপপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, মুঠোফোনে চার্জ না থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছেনা। বিদ্যুৎ না থাকায় খুব কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন এলাকার লোকজন। কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও বিদ্যুতের কোনো সমাধান পাওয়া যাচ্ছেনা।
জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সহকারী উপ-ব্যস্থাপক খালিদ মাসুদ মজুমদার বলেন, ” বিদ্যুতের তাঁরের ওপর গাছ পড়ার কারনে গাছ সরিয়ে তাঁরের সংযোগ দিতে সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে। ” জানতে চাইলে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি – ২ এর জেনারেল ম্যানেজার সরওয়ার জাহান বলেন,” অনেক এলাকায় বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে মাটি ছুঁয়েছে। অনেক জায়গায় খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। লোকজন কম থাকায় কাজ করতে একটু সময় লাগছে। স্বাভাবিক কখন হবে বলা যাচ্ছেনা। তবে লোকজন মাঠে রয়েছে।