গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত। রেজি নং – ১৬৯

টানা বর্ষণে চট্টগ্রামের কয়েক স্থানে পাহাড়ধস

লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের এলাকায় টানা চারদিন ধরে অবিরাম বর্ষণ হচ্ছে। এর ফলে চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকস্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরের কয়েকস্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড়ধসের কারণে চলাচলে তৈরি হয় প্রতিবন্ধকতা। পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে গত দুইদিনে ঝুঁকিপূর্ণ ১০৫ পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। অবিরাম বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও, সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টির মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে নগরের গরিবউল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় আমান উল্লাহ হাউজিংয়ে পাহাড় ধসে পড়ে। এ ছাড়া সকালে আমবাগান এতিমখানা পাহাড় এবং বায়েজিদ সংযোগ সড়কেও পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে।
আমান উল্লাহ হাউজিং এলাকায় পাহাড়ধসের পর ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজে ছুটে যায়। ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, পাহাড়ধসে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পাশে একটি ঘর ছিল। তবে ঘর পর্যন্ত মাটি আসেনি। ঘরের বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘর থেকে বের হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে বলেন, নগরের লালখান বাজার এলাকার গরিবুল্লাহ শাহ এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। তবে একটু দূরে ৫টি পরিবার ছিল। পাহাড়ধসের মাটি তাদের রাস্তায় পড়ে। যার কারণে চলাচলে বিঘœ ঘটে। তাই ৫ পরিবারকে আমরা নিরাপদ স্থানে নিয়ে এসেছি।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, ‘বিভিন্ন পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ১০৫টি পরিবারকে সরিয়ে চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তাদের খাদ্যসহায়তার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আজ (বৃহস্পতিবার) মতিঝর্ণা, ফিরোজশাহ ও আকবরশাহ এলাকার পাহাড় থেকে ২৫ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সরকারিভাবে গঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি চট্টগ্রামে বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের তালিকা করেছিল। সেই তালিকা অনুযায়ী, চট্টগ্রামে মোট ১৭টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি আছে। এর মধ্যে ১০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়। বাকি সাতটি বিভিন্ন সরকারি সংস্থার। এসব সংস্থার মধ্যে আছে- রেলওয়ে, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত বিভাগ, বন বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালের তালিকায় ১৭টি পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবারকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসের জন্য চিহ্নিত করা হয়।

এই বিভাগের সব খবর

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মিয়ানমারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে মিয়ানমারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত অং কিও মো আজ সাক্ষাত করেছেন। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকারসহ...

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছেন : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছে, সে কারণে আবোল তাবল বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল...

অক্টোবরে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন

চট্টগ্রাম মহানগরে আওয়ামী লীগের ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা কমিটির সম্মেলন আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যা শুরু হবে চলতি সপ্তাহ...

সর্বশেষ

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মিয়ানমারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে মিয়ানমারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত অং...

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছেন : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছে, সে কারণে আবোল তাবল...

অক্টোবরে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন

চট্টগ্রাম মহানগরে আওয়ামী লীগের ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা কমিটির...

চুয়েটের সাথে তিনটি সংস্থার সমঝোতা স্মারক

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)- এর সাথে সিগনাল...

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাই, পুলিশের এসআইকে হাতেনাতে ধরল জনতা

চট্টগ্রামে পাঁচলাইশ থানাধীন টাইগার পাস এলাকায় স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে...