সন্দ্বীপে সামাজিক উ্ন্নয়ন সংস্থা এসডিআই ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের পার্টনারশীপে পরিচালিত সিসিআর প্রজেক্ট এর উদ্যোগে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় করনীয় শীর্ষক স্কুল পর্যায়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে অত্যান্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে।
ক্যাম্পেইনের অংশ হিসাবে ৩ নভেম্বর সকাল ১১ ঘটিকায় আজিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন সহ একটি বর্নাঢ্য রাল্যী আজিমপুর ইউনিয়নের মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর বিদ্যালয় হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আজিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুল আজাদ। রেলী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন এসডিআই সন্দ্বীপ অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোঃ কামাল হোসেন। সভায় মূ্ল আলোচক ছিলেন এসডিআই ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের পার্টনারশিপে পরিচালিত ক্লাইমেন্ট চেইঞ্জ এন্ড রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের কমিউনিটি মোবিলাইজার বাদল রায় স্বাধীন। সভা সঞ্চালনা করেন এসডিআই সমৃদ্ধি প্রজেক্টের এপিসি মোঃ ওমর ফারুক। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে এসডিআই সদর ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম,আজিমপুর সুশীল সমাজের প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম ফরিদ ও বিদ্যালয়ের সকল সহকারী শিক্ষক,এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সহ প্রায় দুই শতাধীক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে বাংলাদেশে। বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এখন অতিবৃষ্টি ও বন্যা হচ্ছে,সন্দ্বীপ সহ দেশের সব নদী গুলো শুকিয়ে চর জেগে যাচ্ছে।এগুলো সবই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এখন কোনো একক অঞ্চল নয়, সারা বিশ্বই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ থেকে আমাদের রক্ষা পেতে অধিক হারে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। কারণ, বৃক্ষই পারে অধিকমাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন উৎপন্ন করতে।এছাড়াও কল কারখানার কালো ধোঁয়ার মাধ্যমে কার্বন নিঃস্বরন বন্ধ করা, প্লাস্টিক পন্য বা পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা এবং কল কারখানার বর্জ্য অপসারনে সচেতন হতে হবে। নতুবা পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে।বৈশ্বিক উষ্ণতা যে ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়েছে তার মধ্য সীমাবদ্ধ না থাকলে পৃথিবীতে ভয়াবহ দূর্যোগের ঝুঁকি বাড়বে।তাই মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আজকের এই ক্যাম্পেইনের গুরুত্ব অপরীসীম ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ।তাই সিসিআর প্রজেক্টের এই কার্যক্রমকে আমরা সাধুবাদ জানাই।