ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার দায় স্বীকার করেছেন আরেক আসামি ফয়সাল আলী শাহাজী ওরফে সাজী। বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হচ্ছে।
আসামি ফয়সাল আলী শাহাজী ওরফে সাজী খুলনার ফুলতলা উপজেলার আলকা গ্রামের আলাউদ্দিন সাহাজীর ছেলে। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহফুজুর রহমান।
এর আগে, মঙ্গলবার ফয়সালের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আরেক আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ফকির আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। মোস্তাফিজুর খুলনার ফুলতলা উপজেলার যুগ্মীপাশা গ্রামের মো. ইমান আলী ফকিরের ছেলে।
গত ২৭ জুন আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী সাহাজী ওরফে শাজীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আতাউল্লাহ।
এমপি আনার হত্যা মামলায় গত ৩ জুন আসামি শিলাস্তি রহমান, ৪ জুন তানভীর ভূঁইয়া এবং ৫ জুন সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর ১৪ জুন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবুও জবানবন্দি দেন। তারা সবাই কারাগারে আছেন।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম। এরপর ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায় কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনে আনার খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় ঐ দিনই ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণ মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।