পবিত্র ঈদুল আযহা কোরবানিকে ঘিরে ফটিকছড়িতে ঘরে ঘরে চলছে রুটি(স্থানীয় ভাষায় রুটি পিঠা) তৈরির উৎসব। চালের গুড়া বা ময়দা দিয়ে তৈরি এ রুঠি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যও বহণ করে। পবিত্র ঈদুল আযহার সময় রুটি দিয়ে কোরাবানি মাংস খেতে সকলেই পছন্দ করে। কোরবানির আগেরদিন থেকে কোরবানি দাতাদের ঘরে চলে এ রুটি তৈরি। সকলে মিলে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে পিঠা করে দেয়। বউ ঝিঁয়েরে একেক জনে একেকটা করে রুটি তৈরি করে। অনেক সময় ঘরের পুরুষ মানুষটিও বসে না থেকে আগুনে কাচাঁ রুটি পুড়ে খাওয়ার উপযোগী করে।
চলে নানা গল্প গাঁথা ও চা খাওয়া। দিন থেকে শুরু করে সারারাত চলে এ পিঠা তৈরি। এক রকম আনন্দ খুশির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে আগের মতো রুটি তৈরির জৌলুস তেমন নেই বলে জানান অনেকে। কারন হিসেবে জানান পরাটা ও বাখরখানির আধিপত্য। এছাড়া অনেকে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে রুটি নিয়ে নেয়। বিশেষ করে সামাজিক সম্পর্কের দৃঢ়তা কমতে শুরু হওয়া। নাজিরহাট এলাকার আলি নেওয়াজ বলেন মনে পড়ে ছোটবেলার স্মৃতি আম্মু চাচিরা মিলে রুটি বানাত। আর আমরা জেগে থাকতাম। কিযে ভাল লাগত। বিবিরহাট এলাকার মফিজুর রহমান বলেন,এখন অনেকে রুটি তৈরিও করেনা পরাটা বাখরখানি নিয়ে নেয়। অথবা অনলাইনে অর্ডার করে রুটি নিয়ে নে। বৃদ্ধা আছমা খাতুন বলেন,আমরা তখন এক ঘরে রুটি তৈরি শেষ করে অন্য ঘরে যেতাম এভাবে পাড়ার অনেক ঘরে মিলেমিশে রুটি বানাতাম।