পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় প্রায় ৯০ একর জায়গায় সৃজিত রাবার সহ বিভিন্ন বনজ গাছের বাগান আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি কুমারী এলাকার মাহবুবুর রহামান চৌধুরী, সী ফিস কালচার লিমিটেড. শান্তি আক্তার চৌধুরী ও আক্তার বানু’র বাগানে এ ঘটনা ঘটে। এতে বাগান মালিকের প্রায় ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে দাবী করা হয়। এ ঘটনায় বাগান মালিক পক্ষ বুধবার দিনগত রাতে অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, ১৯-২০ বছর আগে লামা উপজেলার ২৮৬নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হোল্ডিং নং ৭০৬৮, ৭৪০৬, ৪৪১ ও ৪৪২ এর প্লট নং ৮১, ৪২৯, ১১২ ও ১০৯ মূলে ১০০ একর পাহাড়ি জায়গায় রাবার সহ বিভিন্ন বনজ গাছের বাগান সৃজন করে ভোগ করে আসছেন। গত ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে কে বা কারা পরিকল্পিত ভাবে বাগানে আগুল লাগিয়ে দেয়। এতে প্রায় ৯০ একর জায়গার উপর সৃজিত রাবার সহ বিভিন্ন গাছ পুড়ে যায়। পরে এ ঘটনায় অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের বিবাদী করে বুধবার বিকেলে থানায় অভিযোগ করেন বাগান ম্যানেজার মো. আবদুল হাকিম।
বাগান ম্যানেজার মো. আবদুল হাকিম বলেন, গত ১৩ এপ্রিল রাতে খবর পাই কে বা কারা আমার মালিকের বাগানে আগুন দিয়েছে। এ সময় আমি লোকজন নিয়ে বাগানে ছুটে যাই। ততক্ষণে বাগানের প্রায় ৯০ একর জায়গার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তিনি আরও বলেন, আমার মালিকের বাগানের জায়গা নিয়ে পাশের বাগান মালিকদের সাথে সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল। হয়ত এ বিরোধকে কেন্দ্র করে পাশের কেউ না কেউ পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু ওমর বলেন, ঘটনাটি খুবই দু:খ জনক। একটি বাগান করতে বহু শ্রম, সময় ও অর্থ ব্যয় হয়।
এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম শেখ বলেন, কুমারী এলাকার চারটি বাগানে আগুন লাগার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাগানের ম্যানেজার অভিযোগ করেছেন। ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।