ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জমান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চট্টগ্রামবাসীর সম্পদ। দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতাল চট্টগ্রামবাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রামবাসীর নিজ দায়বদ্ধতা থেকে এই হাসপাতালের উন্নয়নে এগিয়ে আসা উচিৎ। আমি আশা করি ভবিষ্যতে নতুন নতুন বিভিন্ন সেবা চালুর মাধ্যমে এই হাসপাতাল চট্টগ্রামের মানুষের পাশে থাকবে।
তিনি হাসপাতালের সেবার মান ধরে রাখার পাশাপাশি গরীব ও দুঃস্থদের পাশে থাকারও আহ্বান জানান। হাসপাতালটির সেবামূলক কার্মকাণ্ডের ভূয়সি প্রশংসা করে সাবেক মন্ত্রী বলেন, সেবার মান ধরে রাখতে হবে। চিকিৎসা সেবা নিয়ে কোন ধরণের কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। সক্ষমতার বেশি রোগী নিয়ে যাতে সেবার মান নষ্ট না হয় সেদিকে সজাগ থাকার জন্য তিনি হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আজ শনিবার চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালকে প্রতিকী মূল্যে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তী দেয়া জমির দলিল হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। মা ও শিশু হাসপাতালের লাগোয়া ০.০৪৮৮ একর ভূমি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তী প্রদান করা হয়।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নামে সম্পাদিত জমির দলিল আজ হস্তান্তর করা হয়। সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ হাসাপাতালের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মোরশেদ হোসেন এবং জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদের হাতে দলিল তুলে দেন।
এ সময় আনোয়ারা উপজেলার চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর, হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী (ডোনার) সৈয়দ মোহাম্মদ আজিজ নাজিম উদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী ডাঃ কামরুন নাহার দস্তগীর, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী মোহাম্মদ সাগির, মেম্বার মোঃ হারুন ইউসুফ, ছৈয়দ ছগীর আহমদ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের উপদেষ্টা প্রফেসর এ এস এম মোস্তাক আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রফেসর অসীম কুমার বড়ুয়া, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোঃ নূরুল হক, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতাল কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি রেডাউল করিম আজাদ বলেন, দুই কাঠা আয়তনের ছোট্ট জায়গাটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ক্যান্সার হাসপাতালের একবারে লাগেয়া এই জায়গা আমাদের না থাকায় ক্যান্সার হাসপাতাল সম্প্রসারণ করা যাচ্ছিল না। এখন সাবেক মন্ত্রী জাবেদ সাহেবের চেষ্টা এবং বদানৈতায় জায়গাটি আমরা পেয়ে গেলাম। এতে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল যে কী পরিমান উপকৃত হলো তা বলে বুঝানো যাবে না। আমরা এই জায়গায় ক্যান্সার হাসপাতালের বর্ধিত অংশ নির্মাণ করবো। এতে ক্যান্সার হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনায় অনেক সুবিধা হবে বলেও রেজাউল করিম আজাদ উল্লেখ করেন।
তিনি এই হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ যেভাবে সহায়তা করেছেন তার তুলনা হয়না বলেও মন্তব্য করেন। কোটি কোটি টাকা অনুদান প্রদান ছাড়াও হাসপাতালের মেশিনারিজ আমদানিসহ নানাভাবে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ অকাতরে সাহায্য করেছেন বলে উল্লেখ করে রেজাউল করিম আজাদ বলেন, তিনি সহজ শর্তে এবং কোন ধরণের জামানত ছাড়া ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে না দিলে এই হাসপাতাল এত দ্রুত চালু করা সম্ভব হতো না। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চট্টগ্রামের এই গর্বিত সন্তানের কাছে চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকবে বলেও উল্লেখ করেন।
কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন হাসপাতালের নামে জায়গাটি প্রতিকী মূল্যে বন্দোবস্তী প্রদান করায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাইফুজ্জমান চৌধুরী এমপি ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে হাসপাতাল কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সাবেক মন্ত্রী বলেন, ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতার কিছু নেই। চট্টগ্রামের একজন সন্তান হিসেবে চট্টগ্রামের মানুষের জন্য আমি দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। সামনের দিনগুলোতেও চট্টগ্রামের যে কোন প্রয়োজনে তিনি পাশে থাকবেন বলেও উল্লেখ করেন।