বাস র্যাপিড ট্রানজিট-বিআরটি এয়ারপোর্ট-গাজীপুর প্রকল্পের আওতায় ৭টি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা সহজ করতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বিআরটি প্রকল্পের এই ফ্লাইওভারগুলো উন্মুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২৩ মার্চ) র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) অংশের আওতায় এয়ারপোর্ট-গাজীপুর অংশে নির্মিত ৭ ফ্লাইওভারের উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পের নাম গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট – বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট।মন্ত্রী জানান, এর সর্বমোট প্রকল্প ব্যয় ৪ হাজার ২শ ৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। মোট প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। এটির অর্থায়ন করেছে সরকার, এডিবি, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা- এফডি, গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি- জিইএফ।
তিনি বলেন, এ প্রকল্প নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে। যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। এটি বাস্তবায়নে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। তারপরও দেরিতে হলেও কাজটি শেষ হওয়ার পথে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আশা করছি এ বছরেই এটি দিয়ে বাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারব। আমাদের অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হয়ে গেছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯১ শতাংশ। আশা করছি, ডিসেম্বর নাগাদ বাকি কাজ শেষ হবে। বিআরটি করিডোর দিয়ে বাস চলাচল করতে পারবে।
এখন থেকে এই ফ্লাইওভারগুলো দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। যার মধ্যে রয়েছে ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাঁ-পাশ), ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান-পাশ), ১৮০ মিটার জসীমউদ্দীন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউ-টার্ন-১ গাজীপুরা ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার ভোগড়া ফ্লাইওভার এবং গাজীপুরের চৌরাস্তায় ৫৬৮ মিটার ফ্লাইওভার।