চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও স্থানীয় সরকার পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেছেন, মানুষের জন্ম থেকে স্থানীয় সরকারের কাজ শুরু হয় ও শেষ হয় মৃত্যুর পর। স্থানীয়ভাবে উন্নয়নে স্থানীয় সরকার অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য এখন থেকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক সার্কিট হাউজে আয়োজিত জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার পূর্বে ‘স্মার্ট হবে স্থানীয় সরকার, নিশ্চিত করবে সেবার অধিকার’–এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সার্কিট হাউজ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে জন্ম–মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। একইসাথে বাল্যবিবাহ রোধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আউটসোর্সিং বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষত হয়ে স্বাবলম্বী হতে হবে। জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দৃশ্যমান কর্মকাণ্ডের জন্য বাজেট কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করা হবে। শুধু বাজেট দিয়ে দিলেই হবে না, সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ–পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল।