‘ইতিহাস বিকৃতি করা এক শ্রেণির জন্মগত সমস্যা। তারাই দেশের ক্ষতি করছে। দেশের উন্নয়নে যা কিছুই করেন, তাদের কিছুই ভালো লাগে না।’
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন।
ভাষা আন্দোলন থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছে। এ সংগ্রামের পথ বেয়েই আমরা মুক্তি অর্জন করেছি। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার ইতিহাস থেকেও বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলা হয়েছিল। ‘কোথাকার এক মেজর কোন গ্রামের ওপর দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলো আর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল, এমন বিকৃত ইতিহাসও আমাদের শোনানো হচ্ছে’।
২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে উদযাপন করতে পারা আওয়ামী লীগের অবদান মন্তব্য করে সরকার প্রধান বলেন, দেশের মানুষের কথা বলতে গিয়ে বারবার জেলে যেতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে। ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা, ছুটি দেওয়া ও শহীদ মিনার তৈরি করার প্রকল্প গ্রহণ ও বাজেট দেয় আওয়ামী লীগ।
ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার সব ভিত্তিই বঙ্গবন্ধু করে দিয়ে গেছেন। একটি জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য যেভাবে অগ্রসর হওয়া দরকার ছিল, ঠিক সেভাবেই তিনি পরিকল্পনা নিয়ে ধাপে ধাপে এগিয়ে গেছেন। মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা প্রতিবেদনেই ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের প্রমাণ রয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।