কক্সবাজার চকরিয়া সুপার মার্কেটে আদালতের রায় বাস্তবায়ন ও দখল উচ্ছেদ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছে আদালতের নাজির, পুলিশ সহ মার্কেট মালিকের ছেলেরা। গত বুধবার ৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় চকরিয়া পৌরশহরের সুপার মার্কেটে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় মার্কেট মালিকের ছেলে এডভোকেট এবিএম রিয়াদ পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার পিতা এবিএম সাকের এর মালিকানাধীন চকরিয়া সুপার মার্কেটেরে প্রথম তলায় ৪টি দোকান অস্থায়ী চুক্তিতে র নেন জনৈক নুরুল আমিন।
ইতিমধ্যে বিগত ৬ বছর ধরে ভাড়াটিয়া নুরুল আমিন মালিককে মাসিক ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করে বকেয়া রেখে জোরপূর্বক দোকানদারী করে আসায় তার পিতা মার্কেট মালিক এবিএম সাকের চকরিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে অপর ১৬/২০২১ একটি উচ্ছেদ মামলা করেন। আদালত ওই মামলায় ২৩/৫/২০২৩ ইং মালিক পক্ষকে রায় ও ডিক্রী প্রদান করেন। ভাড়াটিয়া নুরুল আমিনের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে মালিক এবিএম সাকেরকে দখল বুঝিয়ে দিতে আদশ দেন। এরপর মালিক এবিএম সাকের অপর জারী মামলা মামলা নং ১৬/২০২৩ দায়ের করেন একই আদালতে। ওই মামলার রায় বাস্তবায়নে ভাড়াটিয়া নুরুল আমিনকে দখল ইচ্ছেদ করে মালিক এবিএম সাকেরকে ৪টি দোকান বুঝিয়ে দিতে গত ৭ ফ্রেব্রুয়ারি দুপুর ১টার দিকে চকরিয়া সহকারী জজ আদালতের নাজির হামিদুল হক ও চকরিয়া থানার ২জন এসআই সহ একদল পুলিশ সুপার মার্কেটে গিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এক পর্যায়ে দোকান খালি করে আদালতের পক্ষ থেকে মালিক পক্ষকে দোকান গুলো বুঝিয়ে দেয়ার সময় হঠাৎ ভাড়াটিয়ার ছেলে জিকন, লিমন, শরীফ ও বহিরাগত মুজিব কমিশনারের নেতৃত্বে ভাড়া করা সশস্ত্র বাহিনী হামলা করে আদালতের নাজির, পুলিশ ও মালিকের ছেলে হাসনাত, রিয়াদ এর উপর। সন্ত্রাসীরা মালিকের ছেলেদের কিল ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করেন। এসময় সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। পরে মার্কেট মালিকের ছেলে এবিএম রিয়াদ বাদী হয়ে বুধবার রাতে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। মালিকের ছেলে এবিএম রিয়াদ বলেন, আদালতে রায় বাস্তবায়ন উচ্ছেদ কার্যক্রম বাধা দেয়া মানে আদালত অবমাননার শামিল। আমরা এই হামলার কঠোর বিচার চাই। এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মার্কেট মালিক ও তার পরিবার। যেকোনো সময় আবার ও হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্ত ভুগীরা।