দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনোত্তর সহিংসতা পুরো দেশে আপাতঃ কমে এলেও বিন্দুমাত্র কমেনি মুন্সীগন্জ সদর আসনে।সেখানে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের পুত্র ফয়সাল বিপ্লব এর সমর্থকদের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে একের পর এক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে।যাঁর সর্বশেষ ঘটনায় ২২ জানুয়ারী সোমবার এজজন গুলিবিদ্ধ ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়েছেন।তারা হলেন,মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন ও তাঁর মালয়েশিয়া প্রবাসী ভাই মোহাম্মদ আবিদ হোসেন শোভন (৩০)। ২২ জানুয়ারী সোমবার দুপুর ১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের সিপাহীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ জানান,দুপুরে তাঁর উপর দলবল সহ হামলা করে স্থানীয় সন্ত্রাসী প্রান্ত শেখ।নিজের আপন ভাইকে আক্রান্ত হতে দেখে তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে মালয়েশিয়া প্রবাসী ভাই শোভন।তখন প্রান্ত নিজের পিস্তল দিয়ে শোভনকে গুলি করলে শোভন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের দুই ভাইকে মুন্সীগন্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার কারন অনুসন্ধানে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের পক্ষের সমর্থক ছিলেন শোভন।আর বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থক ছিলেন প্রান্ত শেখ।স্থানীয় ভাবে প্রান্ত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. কালাম প্রধান জানান,আহত শোভনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।সে বাঁ-পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান,ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।হাসপাতালে আহতদের পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত প্রান্তকে গ্রেফতারে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। উল্লেখ্য,ইতিপূর্বে স্লোগানে প্রকাশিত এক সরেজমিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো,স্থানীয় সচেতন নাগরিক ও সাধারণ মানুষ দ্রুত মুন্সীগন্জে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চান। তাঁরা জানিয়েছিলেন,স্থানীয় বাস্তবতায় প্রতিহিংসা এতোটাই তীব্র যে,প্রশাসনের পক্ষেও সম্ভব নয় মুন্সীগন্জ সদর আসন এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা।