মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বাড়ৈভোগ এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে।প্রায় দেড়ঘন্টা স্থায়ী এই সংঘর্ষে চরম আতংকিত হয়ে পড়েন স্থানীয় লোকজন।গতকাল ১৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাত ১০টায় ফতুল্লার বারৈভোগ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে দশজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।যদিও তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানা যায়নি।
সরেজমিনে রাত সাড়ে এগারোটার সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলতে গেলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ফতুল্লার ঘোষেরবাগ এলাকার ফেরদৌস গ্রুপ আর খানকার মোড় এলাকার রমু গ্রুপের মধ্যে মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে।তাদের উভয় গ্রুপের মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক কিশোর সদস্য রয়েছে।
গত কয়েকদিন যাবত দুই গ্রুপের মধ্যে এলাকার সীমানা ভাগাভাগি নিয়ে চাপা উত্তেজনা চলছিল।১৫ জানুয়ারী সোমবার রাতেও এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বারৈভোগ বাজারে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
মঙ্গলবার রাতে আবারও দুই গ্রুপের মধ্যে রাম দা ছুরি হাতে সংঘর্ষ হয়।এসময় উভয় গ্রুপের অন্তত দশজন আহত হয়।আহতদের মধ্যে রমু গ্রুপের অনিক (২০) নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।তাকে সহ আহতদের চিকিৎসার জন্য কোথায় নেওয়া হয়েছে স্থানীয়রা তা বলতে পারেননা বলে জানান।
সংঘর্ষের সময় আতংকিত লোকজন বাজারের দোকান ও বাসা বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ করে দেন।তখন অনেক সাধারণ লোকজনদেরও সন্ত্রাসীরা মারধর করে বলে অভিযোগ করেন ইদ্রিস আলী (৬৭) নামের স্থানীয় একজন।ঘটনা সম্পর্কে জানতে রামুর মোবাইলে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ কেটে দিয়ে সুইচড অফ করে রাখে।খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ এসে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম জানান,ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।সন্ত্রাসীদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।