বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ভয়েস অফ আমেরিকার স্পেশাল একটি আয়োজন ছিলো একই প্রশ্ন নিয়ে তাঁরা দেশের বিভিন্ন বিশিষ্টজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
গত ৫ জানুয়ারী থেকে ভয়েস অফ আমেরিকা(ভোয়া) তা প্রকাশ করে চলেছে।সকলের জন্য নির্ধারিত সাতটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও এমনকি ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটিয়ে ফেলেছেন অজান্তেই।কেউ অল্প কথায় অনেক কিছু বুঝিয়েছেন,আবার কেউ বিশাল রচনাতেও স্পষ্ট করতে পারেননি নিজের কথাটি।আমরা স্লোগান পাঠকের জন্য সেই সকল সাক্ষাৎকারের চৌম্বকীয় অংশ নিয়ে তিন পর্বের এই প্রতিবেদন তৈরী করেছি।ইতিমধ্যে দুই পর্ব পাঠক পেয়ে গেছেন।এটি তৃতীয় ও শেষ পর্ব।
বোধকরি সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক হতে চলেছে এই পর্বটিই। শুরু করবো বাংলাদেশের অন্যতম সেরা সুশীল হিসেবে সমাদৃত,স্পষ্টবাদী ও সময়ের প্রয়োজন তুলে ধরা কন্ঠস্বর সুলতানা কামালকে দিয়ে।সাত প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট কথা বলেছেন।আমেরিকা ও ইইউর শিষ্টাচার বহির্ভূত ভূমিকার সমালোচনা যেমন করেছেন সমভাবে প্রধান দুই দলের আন্তরিকতার ঘাটতিকেও তুলে ধরেছেন। আগামী সংসদের মেয়াদ কতোদিন হতে পারে প্রশ্নে এই গুণীজন বিনয়ের সাথে বলেন,এটা বলার মতো যোগ্যতা দক্ষতা ক্ষমতা কোনোটাই আমার নেই।এটা নির্ভর করবে যারা নির্বাচিত হবেন তারা কতখানি শক্তির মাধ্যমে হোক নিজেদের ক্ষমতা খাটিয়ে হোক কিংবা জনগণের মন জয় করেই হোক যেভাবে যতদিন টিকতে পারেন। এর আগেও তো যখন নির্বাচন হয়েছে সেখানে যারা হেরে গিয়েছেন তারা বয়কট করেছেন তারপরেও তো সংসদ চলেছে।আমাদের দেশে তো সেরকম শক্তিশালী…যেমন ১৫ ফেব্রুয়ারির যে নির্বাচনটা ১৯৯৬ সালের সেটাতো বাতিল করা গিয়েছে।
তখন যে বিরোধীদল ছিল তাদের জনসম্পৃকতা অনেক বেশি ছিল। সেই নির্বাচনটা অনেক বেশি খোলাখুলি ভাবে অগ্রহণযোগ্য ছিল। এখনকার কারচুপির ধরনটাও তো ভিন্ন। সেই কারচুপি তো যেমন ২০১৪ বা ২০১৮ সালের বিশেষ করে যে নির্বাচন সেটা যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। তবে আমরা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারছিনা। সে সমস্ত কারণে আমার মনে হয় আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় আছে আর বিএনপি বিরোধীদল হিসেবে অত্যন্ত দুর্বল বিরোধীদল। সেদিক থেকে নতুন সংসদ যদি গঠন হয় তা না টিকার কোনো কারণ দেখছিনা। সবশেষ প্রশ্ন তথা ভোট দিতে যাবেন কিনা প্রশ্নে সুলতানা কামাল বলেন,আমার ভোট তো সিলেটে।ঢাকায় আছি আমি।দেখি চেষ্টা করবো।যদি সম্ভব হয় তাহলে যাব। ভোট দেয়াতো আমার কর্তব্য।যদি সম্ভব হয় যাবো। এই প্রতিবেদক ভয়েস অফ আমেরিকার প্রকাশিত প্রতিটি সাক্ষাৎকার পড়েছেন গভীর মনোযোগে।
মোট ২৯ টি সাক্ষাৎকারের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ ও বিভ্রান্তিকর কথায় ভরপুর ছিলো মজিবুর রহমান মন্জুরটি।ভোয়া জানিয়েছে তিনি এবি পার্টির সদস্য সচিব। মন্জুর ভাষায় আমেরিকা ও ইইউর ভূমিকা ছিলো শতভাগ সঠিক,পক্ষান্তরে ভারতের ভূমিকা ছিলো বাংলাদেশের মানুষের সরাসরি বিপক্ষে।সাতটি প্রশ্নের উত্তরেই তিনি অনেক কথা বলেছেন।একই ধারায় আগামী সংসদের মেয়াদ কতোদিন প্রশ্নে তিনি যা বলেছেন,তাঁর সারমর্ম দাঁড়ায় আমেরিকার সহায়তায় বড়জোর তিনমাস পরেই পতন ঘটবে আগামী সংসদের। গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরুও অনেক বড়ো সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।আমেরিকা ও ইইউর ভূমিকা নিয়ে নুরু বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের যে ভূমিকা এটি আমাদের শিক্ষিত সচেতন মানুষের কাছে অত্যন্ত ইতিবাচক। একই সাথে আমি মনে করি দেশের আপামর জনসাধারণও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় খুব আশাবাদী হয়েছে। দেশের মানুষ রাজনৈতিক করুক আর না করুক সবাই একটা জিনিস বুঝতে পারছে বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় যে প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, এনবিআর, মানবাধিকার কমিশন এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান এমনকি বিচার বিভাগ একেবারেই তছনছ করে ফেলেছে দলীয়করণ করে। সেখান থেকে আপনার মানুষের ন্যায্যতার প্রত্যাশা করা যায় না। সে জায়গা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২১ সালে যে র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা এই নিষেধাজ্ঞার ফলে কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিছুটা সংযত হচ্ছে বিরোধীদলের প্রশ্নে। বিরোধী দলের সভা সমাবেশে কিছুটা স্পেস দিতে বাধ্য হচ্ছে। পশ্চিমা বন্দনামূখরতা আরও অনেক বড়ো ছিলো। আগ্রহী পাঠক চাইলে ভোয়ার সাইটে গিয়ে পড়ার সুযোগ তো থাকছেই। ভারতের ভূমিকা প্রশ্নে নুরুল হক নুর নিজের সকল ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।তিনি বলেন,ভারতের ভূমিকা একেবারে স্পষ্ট একপাক্ষিক ভূমিকা। যেটা ২০১৪ সালেও ছিল, ২০১৮ সালেও ছিল। এমনকি এটা রাঘঢাকেরও বিষয় না।
২০১৪ সালে সে সময় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ছিল সুজাতা সিং তিনি এবং এখানকার যে হাইকমিশনার ছিলেন পংকজ স্মরণ তারা মিলে ১৪ সালে বিরোধীদল বিহীন একতরফা নির্বাচন করার জন্য সরকারের দলে যে জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টি তার প্রধান এরশাদ সাহেবের সাথে একাধিকবার মিটিং করা এবং প্রকাশ্যে মন্তব্য করা যে এই নির্বাচন না হলে বা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসলে বাংলাদেশে মৌলবাদীরা ক্ষমতায় আসবে। অর্থাৎ, বিএনপি জোটকে তারা মৌলবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ভারত একেবারেই আমাদের বর্ডার শেয়ারিং কান্ট্রি। নেইবারিং কান্ট্রি। আমরা সে জায়গা থেকে তো চাই ভারতের সাথে আমাদের দেশের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হবে। সেই সম্পর্কের ভিত্তি হবে দু’দেশের জনগণ এবং দুই দেশের জনগণের ন্যায্যতা। সেখানে দুঃখজনক হলেও আমরা দেখতে পাচ্ছি বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে ২০০৬ সালের পরবর্তী সময় থেকে যে সেনা সমর্থিত সরকার ছিল সেই সময় থেকে ভারতের অদ্যবধি ভূমিকা স্পষ্টতই আওয়ামী লীগের পক্ষে এবং গণতন্ত্রের বিপক্ষে। প্রণব মুখার্জির বইয়ে স্টেটমেন্ট পড়েছেন, সেখানে তিনি বলেছেন যে মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনকে ম্যানেজ করে কিভাবে প্রণব মুখার্জি শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় আসতে সহযোগিতা করেছে। সেই জায়গা থেকে ভারতের এই ভূমিকায় দেশের মানুষ হতাশ এবং দেশের মানুষ খুবই ক্ষুব্ধ। আপনি যদি একটা নিরপেক্ষ জরিপ করেন দেশের মানুষ প্রচন্ড রকমের ভারত বিদ্বেষী (অবস্থান) নিয়েছে এবং নিচ্ছে সে
আপনি যদি একটা নিরপেক্ষ জরিপ করেন দেশের মানুষ প্রচন্ড রকমের ভারত বিদ্বেষী (অবস্থান) নিয়েছে এবং নিচ্ছে সেটার একটা নজির হয়তো ২০২১ সালে মোদী বিরোধী আন্দোলনে ভারতও দেখতে পেয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখানে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে। সেই ২৬ শে মার্চের আগে এবং পরে ব্যাপক বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভ দমনে সরকার সহিংস হয়েছে। সেটা বাংলাদেশে বোধহয় ৫০ বছরে কোন বিদেশি মেহমান আসাকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ঘটনা ঘটে নাই। আগামী সংসদের মেয়াদ নূরের মতে কয়েক মাস।মন্জুর মতো তিনিও অবশ্য পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তায় তা সংঘঠিত হবে বলে জানিয়েছেন। প্রায় একই ধরনের তথা আমেরিকা ও ইইউর ভূমিকা ছিলো শতভাগ সঠিক আর ভারতের ভূমিকা ছিলো বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে,এমনটাই বলেছেন গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী।ভয়েস অফ আমেরিকার কাছে সুব্রত চৌধুরী আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হিটলার মুসোলিনিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন কয়েকবার।অথচ ভোয়ার প্রশ্ন ছিলো,আগামী সংসদের মেয়াদ কতোদিন হতে পারে বলে মনে করেন? সুব্রত চৌধুরীর উত্তর ছিলো এমন,বরাবরের মতো এটা শেখ হাসিনার আরেকটা রাজ চালাকি।এই রাজ চালাকি করে উনি তো ঘৃণিত হচ্ছেন।উনি তো এখন হিটলার মুসোলিনের জায়গায় চলে গেছে। ফিলিপাইনের মার্কোস বা ইরাকের সাদ্দাম বা লিবিয়ার গাদ্দাফি এই ধরনের নির্বাচন করে করেই তো ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিল।কিন্তু এক সময় গিয়ে তো সবকিছুই তো ধরা পড়েছে। এখন শেখ হাসিনার অন্তিম মুহূর্ত। তুমি বাংলাদেশের নষ্ট রাজনীতির পথ চালু করে যাচ্ছেন। উনি ঘৃণিত হিসেবেই থাকবেন এবং এই ধরনের জবরদস্তি মূলক ভাবে পুলিশ প্রশাসন বিজিবি সেনাবাহিনীকে কাজে লাগিয়ে তাদেরকে অবৈধভাবে সুযোগ সুবিধা দিয়ে উনি ক্ষমতায় টিকে থাকার যে চেষ্টা করেন আমার মনে হয় তার সময় শেষ হয়ে আসছে। এমনিতেই তার নৈতিক পরাজয় হয়ে গেছে।এখন তো দেখাই যাচ্ছে উনি যেসব বক্তৃতা করছে, যেখানে বিএনপি সহ ৬৩ টা রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না উনি সারাক্ষণই বিএনপির বিরুদ্ধে অপজিশনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন যারা তার নির্বাচনের প্রতিপক্ষও না।এমন একটা পরিবেশ তিনি সৃষ্টি করেছেন যেটা রাজনীতির সাথে যায় না। তিনি রাজনীতির সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছেন। (প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাননি এই প্রতিবেদক।পাঠক চেষ্টা করে দেখুন) ছাত্রদল সভাপতি রাশেদ ইকবাল খাঁন আগামী সংসদের মেয়াদ নিয়ে বলেছেন,সংবিধানকে অগণতান্ত্রিক পন্থায় সংশোধন করতে গিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সরকার কেড়ে নিয়েছে। এই অবস্থায় সরকার কতদিন টিকে থাকবে তা একটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে, সেটা হলো সাধারণ মানুষকে তারা কতটা অধিকার বিছিন্ন করতে পারবে। গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে মানুষকে অবনমিত করে, নির্যাতন করে, হয়তো ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করা যাবে। ওতে করে মানুষ তার অধিকার হারাবে। দেশ থেকে গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে যাবে। একই প্রশ্নে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন,আমরা মনে করি পূর্ণ মেয়াদ থাকবে। কারণ, এক- এটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আর দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণ কিন্তু পাঁচ বছরের জন্য তাদের সরকার বেছে নিচ্ছে।
জনগণের চাওয়া বাস্তবায়ন করাই সরকারের দায়িত্ব। সেটিই হতে যাচ্ছে। আর যেহেতু ভোট উৎসবের মাধ্যমে জনগণের নিরঙ্কুস সমর্থন নিয়ে নতুন একটি সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমরা মনে করি এ সরকার অনেক বেশি শক্তিশালী ও টেকসই হবে। আমরা চাই, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও তারুণ্যের জন্য শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতা থাকুক। দেশবরেণ্য সমাজকর্মী ও সুশীল খুশী কবির আগামীকাল অবশ্যই ভোট দিতে যাবেন বলে নিশ্চিত করে আগামী সংসদের মেয়াদ কতোদিন হতে পারে প্রশ্নে বলেন,এটা নির্ভর করবে যে পাবলিক তাদেরকে এক্সেপ্ট করেছে কিনা।পাবলিক যদি এক্সেপ্ট করে তাহলে পাচ বছর টিকবে।২০১৪ সনের ভোটে তো বিএনপি যোগদান করেননি।পাচ বছর তো টিকেছে। ২০১৮ সালে যোগদান করে আবার লাস্ট মুহুর্তে উইথড্রো করেছে।
কিন্তু, সেবারও পাচ বছর টিকেছে। ভালো কিংবা মন্দ সেটাতে এখন যেতে চাচ্ছিনা। পাবলিক চাইলে পাচ বছর টিকবে।কোনো পার্টি যদি এককভাবে আন্দোলনের ডাক দেয় আর মানুষ যদি তাতে সাড়া না দেয়,তাহলে আন্দোলন কখনো সফল হয়নি আর হবেও না। পশ্চিমা বিশ্বের ভূমিকা ছিলো পজিটিভ আর ভারতের ভূমিকা ছিলো নেগেটিভ।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি রেজাউল করিমের বক্তব্যের সারসংক্ষেপ ছিলো এমনই। আগামী সংসদের মেয়াদ প্রশ্নে তিনি কোন নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।তিনি বলেছেন,মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম: আমাদের দেশের যে অর্থনীতিক অবস্থা চলছে এবং মানুষের ভেতরে যে প্রতিদিনই একটি অশান্তি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ঊর্ধ্বমুখী বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এই সরকার যদিও আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন করে নিবে এবং তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য চেষ্টা করবে। কিন্তু আমার ধারণা সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করার পরিবেশ থাকবে না। তবে কতদিন টিকবে না টিকবে সেটা পরিষ্কার বলা যায় না। বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাস জানিয়েছেন, তিনমাসও টিকবেনা আগামী সংসদ। তবে তাঁর সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্নমত পোষণ করেন দেশের কিংবদন্তি টেবিল টেনিস খেলোয়াড় জোবেরা রহমান লিনু।আগামী সংসদের মেয়াদ প্রশ্নে লিনু বলেন,পূর্ণ মেয়াদ।হলে তো পূর্ণ মেয়াদই চাইবে।কেননা যেই আসুক,আসলে তো তিন মাসেও কাজ করতে পারবে না ছয়মাসেও কাজ করতে পারবে না। তাকে তো সুযোগ দিতে হবে। পূর্ণ মেয়াদ পর্যেন্ত। পূর্ণ মেয়াদই টিকবে। আপনি এবার ভোট দিতে যাবেন প্রশ্নে লিনু বলেন,হ্যাঁ, আমি অবশ্যই ভোট দিতে যাবো।