দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের একদিন আগে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলাদেশের বিভিন্ন দলমত ও শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে।যা নিঃসন্দেহে ছিলো একটি স্পেশাল আয়োজন পুরো বাংলাদেশের জন্য। গতকাল ৫ জানুয়ারী প্রকাশিত সাক্ষাৎকারগুলোর বিশেষত্ব ছিলো এই যে,সবার নিকট সাতটি প্রশ্ন করা হয়।একই প্রশ্নের ভিন্ন ভিন্ন উত্তর দিয়েছেন নিজ নিজ রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনায়। সাক্ষাৎকারে একইসাথে যৌক্তিক,রাজনৈতিক, বিদ্রুপাত্মক,হিংসাত্মক ও অহমিকা উঠে এসেছে নিজ ব্যক্তিত্বের মতোই।আপনি চাইলে কিছু বিনোদনও পেতে পারেন।তবে সেজন্য ভোয়ার সবগুলো সাক্ষাৎকার আপনাকে পড়তে হবে।স্লোগান পাঠকের জন্য সেই সকল সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে এনে সাঁজিয়েছি এই প্রতিবেদন।প্রতিবেদনটি তিন পর্বে আমরা নিয়ে আসবো আপনাদের কাছে।
ভোয়ার সাতটি প্রশ্ন ছিলো, ১.নির্বাচন কতোটা গ্রহনযোগ্য হবে দেশ ও দেশের বাইরে ?উত্তর না হলে তিনটি কারণ বলুন। ২.তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে হলে কি নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হতো? ৩.বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন কতোটা অংশগ্রহণমূলক হলো বলে মনে করেন? ৪.যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকাকে কেমন চোখে দেখছেন? ৫.ভারতের ভূমিকাকে কেমন চোখে দেখছেন? ৬.কতোদিন টিকবে বলে মনে করেন আসছে সরকার? ৭.ভোট দিতে যাবেন? বাংলাদেশের রাজনীতি ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে মানুষের মনে ঘুরপাক খাওয়া কয়েকটি প্রশ্ন তাঁদের তালিকায় রেখেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমটি।এবং প্রশ্নগুলো নিয়ে তাঁরা গিয়েছিলো চব্বিশ জন ব্যক্তির নিকট(সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়া সাপেক্ষে)।তন্মধ্যে আমরা একুশজনের বক্তব্যের চৌম্বকীয় অংশ স্লোগান পাঠকের জন্য তুলে এনেছি।যাঁদের মধ্য আছেন ১৫ রাজনীতিবিদ,দুইজন সুশীল সমাজের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব ও চারজন ক্রীড়াঙ্গন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। এবার চলুন দেখে নিই কে কি বললেন ভয়েস অফ আমেরিকার নিকট?
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন,বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা তারা অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বলে আমি মনে করি।তবে যাঁরা নির্বাচনে বাধ সাধছে,আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছে, তাঁদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না বরঞ্চ তারা ভয় দেখাচ্ছে বাংলাদেশে স্যাংশন জারি করবে।তার মানে হচ্ছে তারা আগাম বিচার করে বসে আছে৷ বাংলাদেশের নির্বাচনে কি হবে কি হবে না। নির্বাচন নিয়ে ভারতের ভূমিকা প্রশ্নে মেনন বলেন, ভারত তো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেটাই আশা করে। জনগণ সেখানে অংশ নেবে সেটাই আশা করে।এর বাইরে তাদের অন্য কোন ভূমিকা বিশেষ করে প্রকাশ্যে কোন ভূমিকা আছে বলে লক্ষ্য করা যায় না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ কতদিন টিকে থাকবে প্রশ্নে মেননের উত্তর ছিলো,আমি মনে করি পূর্ণ মেয়াদেই টিকে থাকবে।যদি বড় ধরনের কোন অঘটন না ঘটে, যদি বিদেশী কোন হস্তক্ষেপ না হয়।অথবা এখানে অসাংবিধানিক অস্থিতিশীল কোন পরিস্থিতি তৈরি না হয়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংসদ,বিশিষ্ট অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর আমেরিকা ও ইইউর ভূমিকা নিয়ে বলেন,অনেকটা বিস্মিত হয়েছি তাদের অতি উৎসাহে। কারন একটি দেশের নির্বাচনে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সেখানে তারা যেভাবে বক্তব্য রাখতে শুরু করলো মনে হয় যেন কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আমি মনে করি কুটনৈতিক সদাচার আছে তার সীমা অনেক ক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হয়েছে,এটি না হওয়ায় বাঞ্ছনীয়। আমরা তো তাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলি না। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও তো নির্বাচন নিয়ে কত রকম বিতর্ক চলছে,সেগুলো নিয়ে তো আমরা কোন কথা বলি না।আমরা একটি ক্ষুদ্র দেশ বলে কি আমাদের উপরে এভাবে খবরদারি করতে হবে?এটা কি গ্রহণযোগ্য।
ভারতের ভূমিকাকে আপনি কিভাবে দেখেন প্রশ্নে নূর বলেন,মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে ভারত আমাদের ঐতিহ্যগত বন্ধু।সে বন্ধুত্বের মর্যাদা আমরা দিয়ে থাকি। নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ কোনো ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি না।তারা নিশ্চয়ই এটা চান এদেশে একটা স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করুক। সেটাই ভারতের স্বার্থের অনুকূলে যাবে। পূর্ণকালীন,অর্থাৎ পাঁচ বছরই আগামী সংসদ টিকে থাকবে,কোন সমস্যা হবে না।বেশ দৃঢ়তার সাথে বললেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে অনেক নেতিবাচক মন্তব্য করলেও এনিয়ে আমেরিকার ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন,আমেরিকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোন সময় তো তারা আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষে এসে দাঁড়ায় নি। সত্তরের নির্বাচনে ভোটের যে রায় হয়েছিল সে রায় বানচাল হওয়ার কারণেই আমরা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম।তখন আমেরিকা কিন্তু যারা ভোটের রায় কার্যকর করতে দেয়নি তাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল।আমি অবশ্য সেসব দেশের সরকারের কথা বলছি জনগণের ভূমিকা হয়তো একটু ভিন্ন রকম ছিল। সামরিক শাসনের আমলে অবৈধভাবে ভোট প্রহসন যেগুলো হয়েছে তারা সমর্থন করেছে। সুতরাং তাদের এখানে অবাধ নির্বাচন না, তাদের এজেন্ডা হল অন্য কতগুলো ভু- রাজনৈতিক গেইম করতে চায়। সেটার জন্য হয়তো প্রেশার দিয়ে সেই সুবিধাগুলো নিতে চায়।তবে একই সাথে বলবো এই সব দেশ যে আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানোর সুযোগ পেলো এজন্য আমি আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি এ দলগুলোকে দায়ী করব।
তারা এমন সব নীতি গ্রহণ করেছে যার ফলে এখন আমাদেরকে এসব দেখতে হচ্ছে। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বেশ দৃঢ়তার সাথে বললেন,আগামী সংসদ পুরো মেয়াদেই টিকে থাকবে। তবে আমেরিকা ও ইইউর ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ইনু জানান, আমার কাছে মনে হয় আমেরিকা,ইউরোপ বা পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো তাদের কাছে নির্বাচন যত না মাথা ব্যথা তার চেয়ে তাদের কাছে দেশীয় রাজনীতি এবং ভু-রাজনীতির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। তারা নির্বাচনকে ছুতো করে ভুরাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সরকার অদল বদলের একটা অঘোষিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে।এটা বিদেশিদের কাছ থেকে আমরা আশা করি না। তারা অবশ্য নির্বাচনকে ছুতো করে ভুরাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সরকার অদল বদলের একটা অঘোষিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে।এটা বিদেশিদের কাছ থেকে আমরা আশা করি না। তারা অবশ্য পরে বুঝতে পেরেছে যেখানে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত আছে সুতরাং নির্বাচন সম্পর্কে অনেক মন্তব্য করলেও দিনশেষে ইউরোপ-আমেরিকা তারা কিন্তু নির্বাচনের তফসিল বাতিলের ঘোষনা প্রত্যাখ্যান করেনি।
এমনকি নির্বাচন চলছে,কাজও চলছে কেউ কোন বাধা দেয়নি। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য তারা দেয় নি। ভারতের ভূমিকা প্রশ্নে বললেন,বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত কোন উচ্চবাচ্যই করেনি।তারা একটা নীতিতেই আছে যার যার নির্বাচন তার তার কাছে। সুতরাং এক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা নিরপেক্ষ এবং নিষ্ক্রিয়। আমেরিকা ও ইইউর ভূমিকায় সন্তুষ্ট কিন্তু ভারতের ভূমিকায় ভীষণ ক্ষুব্ধ জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।তিনি বলেন,আসলে যে সমস্ত দেশই বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে থাকবে , একটা সুস্থ ডেমোক্রেটিক এনভায়রনমেন্ট এর পক্ষে থাকবে আমরা এই ধরনের সকলের ভূমিকাকেই অ্যাপ্রিশিয়েট করি।আমাদের দেশে আজকে শুধু আমেরিকা বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন নয় আরো অনেক দেশ চায় যে বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ জনপ্রতিনিধিত্বমূলক অংশীদারিত্বমূলক একটা নির্বাচন। সকলের স্বার্থে বাংলাদেশের আজকের ডেমোক্রেসি বিকাশের ক্ষেত্রে এটা জরুরী এবং সকলের ইন্টারেস্ট এর সাথে জড়িত। তাহেরের মতে, ৭ তারিখের নির্বাচন ভারতীয় ডিজাইনের অংশ।ভারত এখানে আওয়ামী লীগের পক্ষে সরাসরি ভূমিকা রাখছে।নির্বাচনে তারা হস্তক্ষেপ করছে এবং নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য যে সমস্ত এজেন্সি আছে এ সমস্ত এজেন্সি কে তারা প্রভাবিত করার জন্য চেষ্টা করছে।ভারতের এই নগ্ন হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপরে যে হস্তক্ষেপ।এটাকে চরমভাবে ঘৃণার সাথে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি,নিন্দা করছি। দেশের মানুষ ভারতের এই ভূমিকাকে অত্যন্ত ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে বলে দাবী করে তাহের আগামী সংসদের মেয়াদ নিয়ে বলেন,এদেশের মানুষ এই নির্বাচনকে কোনভাবেই মেনে নেবে না।
আমরা আশা করি এই নির্বাচনে যে অবৈধ প্রোডাক্ট তৈরি হবে তারা এই দেশের জনগণের কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তারা অচিরেই ভেঙ্গে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনকে “নাটক” আখ্যায়িত করে নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র,ইইউ আর ভারতের ভূমিকা নিয়ে বেশ লম্বা বক্তব্য রেখেছেন ভয়েস অফ আমেরিকার নিকট বিএনপির সহঃ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন,দেখুন আমরা তো কোন বিচ্ছিন্ন দ্বিপ না। আমরা গ্লোবাল ভিলেজে বাস করি। পৃথিবীর যে দেশগুলো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে, মানুষের নিজের প্রতিনিধি নিজে বেছে নেয়ার শক্তিতে বিশ্বাস করে, যারা মানবাধিকারে বিশ্বাস করে, বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সেই দেশগুলো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষগুলো যা চাই সেই ভাষায় কথা বলছে। সাধারণ মানুষ চায় সংবিধান তাকে যে ক্ষমতা দিয়েছে, দেশের মালিকানা দিয়েছে, সেই মালিকানার ক্ষমতাটা প্রযোগ করতে। সাধারণ মানুষ চায় নিজের প্রতিনিধি, নিজের এমপি নিজে নির্বাচন করতে। এই কথাগুলোই কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব বলে আসছে। শুধু বলেই আসছে তা নয়, ইতিমধ্যে তারা ভিসা নীতি দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন টার্গেটেড স্যাংশন দিয়েছে, তারা ডেমোক্রেটিক সামিটে বাংলাদেশকে দাওয়াত করেনি। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সম্ভবত নির্বাচনের পরে বড় ধরনের একটা স্যাংশন আসতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ওপর। যেটা বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে আত্নঘাতি হবে। বর্তমানে অর্থনীতির ওপর যদি নিষেধাজ্ঞা আসে, তাহলে দেশের অর্থনীতি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে। অর্থনীতির ওপর যদি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসে তাহলে সেই ধাক্কা বাংলাদেশ নিতে পারবে না, বলে আমি মনে করি। আর এই নিষেধাজ্ঞা আসলে তার জন্য এককভাবে দায়ি থাকবে এই সরকারের ক্ষমতার লোভ। ভারতের ব্যাপারে আমি একটা কথাই বলবো, সেটা হচ্ছে প্রতিবেশী কিন্তু পরিবর্তন করা যায় না। আমাদের যেমন ভারতকে পাশে নিয়েই চলতে হবে, ভারতকেও বাংলাদেশকে নিয়েই চলতে হবে। সুতরাং ভারত যদি মনে করে তার সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখে সেটা লং রানে ভারতের জন্য খুব সুখকর কিছু হবে না। দ্বিতীয়ত, ভারতের পাশে পাকিস্তান, এই কথার অর্থ বলতে আমি বুঝাচ্ছি, বৈরি জনগোষ্টি পাশে নিয়ে ভারতের জন্য শান্তিতে থাকার কোন কারণ আমি দেখছি না। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মাঝে এন্টি ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট প্রবল হয়ে উঠছে। মানুষ মনে করছে সরকারের যত অপকর্মের দায়ভার তা ভারতের ওপরও বর্তায়। কারণ ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। এটা সাধারণ মানুষের ভারনা। সেখান থেকে তারা সরকারের সমস্ত ভুল ত্রুটির দায়ভার ভারতকে দিচ্ছে। এই দায়ভার ভারত নিবে কিনা, আসলে কতটা নিবে? এই বিবেচনাও ভারতকে করতে হবে। আমি গত পরশু বা তার আগের দিন টেলিগ্রাফে একটা সম্পাদকীয় দেখেছি, সেখানে তারা বলছে যে, ভারতের উচিত বাংলাদেশ সরকারে ব্যাপারে একটা রেডলাইন নিয়ে আসা। মানে যথেষ্ট হয়েছে এবার একটু বোধ হয় ভারতকে চিন্তা করা দরকার। আমিও বলবো ভারত একটি বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশ এবং বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধারণা যদি হতে থাকে সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে ভারত এবং সকল অপকর্মের সহযোগীতা করছে সেটা ভারতের জন্য লং রানে ভালো হবে না। ভারতের উচিত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক করা বিশেষ কোন দল বা মতের সাথে না। আগামী সংসদের মেয়াদ নিয়ে রুমিন ফারহানা অনেকটা জ্যোতিষীর মতো ভবিষ্যতদ্বানী করে বলেন,কয়দিন পর আওয়ামী লীগের ভেতরই পরস্পর পরস্পরকে ভোটচোর বলে দোষারোপ করবে।সেটাকে আওয়ামী লীগ কতটা সামাল দিতে পারে,সেটাও দেখার বিষয়।আর সরকারের মেয়াদ নির্ভর করবে নিজেদের কোন্দল সামলে রাখার সাফল্য ব্যর্থতার উপর!
দ্বিতীয় পর্ব রাতেই আসছে