চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করে হত্যা ও ডাকাতির মামলায় মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. ইসহাককে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার ইসহাক হাটহাজারী থানার ফটিকা গ্রামের মো. কামাল হোসেনের ছেলে। গত সোমবার ভোরে রাউজানের সুলতানপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এম এ ইউছুফ।
র্যাব জানায়, ২০১৬ সালের ৫ মার্চ সন্ধ্যায় বায়েজিদে প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন আক্তারের (৩৬) বাসায় হানা দিয়ে ডাকাতি ও তাকে খুন করে একদল সন্ত্রাসী। এরপর বাসা থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল, ট্যাবসহ মূল্যবান জিনিস লুট করে। এ ঘটনায় তার স্বামী মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, নুরুল আলম ও তার বড় ভাই আব্দুস শুক্কুরের যৌথ মালিকানায় বায়েজিদ থানার রৌফাবাদে একটি ভবনের দাড়োয়ান ছিল ওই মামলার ১ নম্বর আসামি মো. ইয়াছিন। ইয়াছিন নুরুল আলমের দূর সম্পর্কের ভাগ্নে। নুরুল আলম ও তার বড় ভাই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আবুধাবিতে ব্যবসা করেন।
আব্দুস শুক্কুরই ইয়াছিনকে বিদেশ নিয়ে যায়। সেখানে আব্দুস শুক্কুরের সাথে ইয়াছিনের মনোমালিন্য হলে ইয়াছিন দেশে চলে আসে। নুরুল আলম ও তার ভাইয়ের ক্ষতি করার জন্য ইয়াছিন তার বন্ধু মনসুরের (২৫) সাথে পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, তাদের অপর দুই সহযোগী মো. আবু তৈয়ব ওরফে রানা (২৪) এবং মো. ইসহাকসহ (২৭) ঘটনার দিন পারভীন আক্তারের বাসায় ঢুকে তার শাড়ি খুলে গলায় ফাঁস ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। পরে এ ঘটনায় ইয়াসিন, মনসুর এবং আবু তৈয়ব রানার উপস্থিতিতে পলাতক আসামি ইসহাকসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এম এ ইউছুফ বলেন, রায় ঘোষণার পর থেকে ইসহাক দীর্ঘ ৬ বছর পালিয়ে বেড়ায়। পলাতক আসামি ইসহাককে ধরতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি চালায়। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সোমবার ভোর ৬টায় রাউজান থানার সুলতানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইসহাককে গ্রেপ্তার করা হয়।