গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত। রেজি নং – ১৬৯

৩ নভেম্বরের জেল হত্যা : ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়

আজ ৩ নভেম্বর। ইতিহাসের কলঙ্কময় অধ্যায় জেল হত্যা দিবস। ’৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর খুনীরা চিন্তা করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন নেতৃত্বে যারা আছে তাঁদেরকেও হত্যা করতে হবে। প্রথমে গ্রেফতার করা হলো জাতীয় চার নেতাকে।
সৈয়দ নজরুল ইসলামের জন্ম ১৯২৫ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারী, কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় বশাইল ইউনিয়নে। তাঁর জ্যৈষ্ট সন্তান মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তাজউদ্দীন আহমদ ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই ঢাকা জেলার গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সন্তান সোহেল তাজ বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব দীর্ঘদিন সততার সাথে পালন করেন।
এইচ.এম কামরুজ্জামান ১৯২৬ সালের ২৬ জুন নাটোর জেলার বাগাতি পাড়া মালচড়ি রেলষ্টেশন সংলগ্ন নুরপুর গ্রামে মামার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ বাড়ী রাজশাহী জেলার কাদেরগঞ্জ মহল্লায়। তাঁর সন্তান খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ক্যাপ্টেন এম.মনসুর আলীর জন্ম ১৯১৯ সালের ১৬ জানুয়ারী সিরাজগঞ্জ জেলায়। তাঁর সন্তান মরহুম মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব নিষ্টার সাথে পালন করেন দীর্ঘদিন।
’৭৫ সালের ৩ নভেম্বর তখন রাত আনুমানিক দেড়টা কি দুইটা প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় একটি জীপ কয়েকজন সেনা সদস্য সহ কেন্দ্রিয় কারাগারের প্রধান ফটকে অপেক্ষমান। ঢাকা তখন অস্থির নগরী। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অভ্যুত্থান এবং পাল্টা অভ্যুত্থান নিয়ে নানা রকম কথা শোনা যাচ্ছে। সে সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জেলার হিসাবে কর্মরত ছিলেন আনিসুর রহমান। রাত দেড়টার দিকে কারা মহা-পরিদর্শক টেলিফোন করে জেলার মি. রহমানকে তাৎক্ষনিকভাবে কারাগারের মূল ফটকের সামনে দ্রুত আসতে বলেন। মূল ফটকের সামনে সেনা সদস্যরা কারা মহাপরিদর্শককে একটি কাগজ দিলেন। সেখানে কি লেখা ছিল সেটা অবশ্য জানতে পারেননি মি. রহমান। মূল ফটক দিয়ে ডুকে বাম দিকেই ছিল জেলার আমিনুল রহমানের কক্ষ। তখন সেখানে টেলিফোন বেঁজে ওঠে। মি. রহমান যখন টেলিফোনের রিসিভার তোললেন তখন অপর প্রান্ত থেকে বলা হল প্রেসিডেন্ট কথা বলবেন। সম্প্রতি বিবিসি বাংলার কাছে এক স্বাক্ষাৎকারে সে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মি. রহমান বলেন, টেলিফোনে বলা হল প্রেসিডেন্ট কথা বলবেন আইজি সাহেবের সাথে। তখন আমি দৌঁড়ে গিয়ে আইজি সাহেবকে খবরটা দিলাম। কথা শেষে আইজি সাহেব বললেন যে, প্রেসিডেন্ট সাহেব ফোনে বলেছেন আর্মি অফিসাররা যা চায় সেটা তোমরা কর। বাংলাদেশের ক্ষমতাসিন দল আওয়ামী লীগ ’৭৫ পরবর্তী ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস পালন করে আসছেন। ’৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামানকে ঢাকার কেন্দ্রিয় কারাগারে গুলি করে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের স্থপতি ও প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে এই জাতীয় চার নেতা ছিলেন দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রায় আড়াই মাস পরে কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে কেন হত্যা করা হয়েছিল? বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তখন অনেকটা দিশেহারা কয়েকজন সিনিয়র নেতা সহ অনেকেই কারাগারে এবং অনেকেই আত্মগোপনে ছিলেন। বাকী নেতারা প্রকাশ্যে কিংবা অপকাশ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি খুনি খন্দকার মোস্তাক আহমদের সাথে সমঝোতা করেন। অনেকেই আবার রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। তৎকালীন এবং বর্তমান রাজনীতির বিশ্লেষক এবং গবেষকগণ মনে করেন জেল হত্যার সাথে নভেম্বর মাসে মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফের পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কিত। কারণ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী সেনা কর্মকর্তারা ভেবেছিলেন খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে সে অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগ বা বাকশালের পক্ষে হয়েছে কিন্তু খালেদ মোশারফ তার সমর্থকদের কার্যকলাপ থেকে এ ধরনের কোন আবাস পাওয়া যায়নি। ক্ষমতাসিন খুনি মোস্তাক বা তার সমর্থকরা চাননি যে, তাদের বিরোধী আর একটি শক্ত শাসক ক্ষমতায় পূণর্বহাল হোক। ঐ ধরনের একটি সরকার যদি হত তাহলে জেলে থাকা সে চার জন ছিলেন সম্ভাব্য নেতা। মূলত এ সম্ভাবনা থেকে জেল হত্যা কান্ড হতে পারে বলে অনেকেই মনে করেন। পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর থেকেই হত্যাকারী সেনা কর্মকর্তারা পাল্টা আর একটি অভ্যুত্থানের আশংকায় ছিলেন। সেনা বাহিনীর মধ্যে ছিল এক ধরনের বিশৃংখলা। সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা মধ্যে ছিল ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। একদিকে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান অপর দিকে মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ। তখন সেনা নিবাসে মেজর পদমর্যদায় কর্মকর্তা ছিলেন বর্তমান বিগ্রেডিয়ার (অবঃ) এম শাখাওয়াত হোসেন। তিনি এসব ঘটনা প্রবাহ বেশ কাছ থেকে দেখেছেন। তার সে অভিজ্ঞতা নিয়ে মি. হোসেন একটি বই লিখেছেন বাংলাদেশের রক্তাক্ত অধ্যায় ১৯৭৫-৮১ শিরোনামে।

’৭৫ এর ১৫ আগস্ট পরবর্তী হত্যাকারীরা খালেদ মোশারফের পাল্টা অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা দেশ থেকে নির্বাসিত হওয়ার আগে জেলখানায় বন্দী ৪ নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। কতিপয় সেনারা ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড ঘটিয়ে সমগ্র জাতিকে স্তব্দ করে দিল। সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাকশালের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন, তাজউদ্দীন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক আইনমন্ত্রী, পেশায় তিনি ছিলেন একজন আইনজীবি। কামরুজ্জামান একজন সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এম মনছুর আলী মুজিব নগর ¬¬¬সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন বাকশাল গঠন হওয়ার পর তিনি সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন। দীর্ঘ ২৯ বছর পর এই জগন্যতম হত্যাকান্ডের বিচার শুরু হয়। ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর তিনজন খুনিকে মৃত্যুদন্ড ও ১২ জানকে যাবজীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিএনপির চার জন নেতা সহ পাঁচজনকে বেখুসুর খালাস দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের ২৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ জেল হত্যা মামলার অভিযুক্ত ৬জন আসামি সামরিক কর্মকর্তাকে বেখুসুর খালাস দেন। খালাসীদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সোলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দীন, রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
হত্যাকারীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ভীতসন্ত্রস্ত করা ও জাতিকে নেতৃত্ব শূন্যকরা। খুনী খন্দকার মোস্তাক জাতীয় চার নেতাকে তার মন্ত্রী পরিষদে শপথ নেওয়ার জন্য গণভবনে ডেকে পাঠান। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধ, আস্থা, হৃদয় নিংরানো ভালোবাসা, দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতির কাছে দেয়া দৃপ্ত শপথে বলিয়ান নেতৃবৃন্দ অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। মানুষের নিরাপত্তার জন্য সৃষ্ট জেল অভ্যন্তরে কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নিষিদ্ধ বা হারাম যতক্ষন পর্যন্ত সে দোষী সাব্যস্থ না হবে। খুনী খন্দকার মোস্তাকের প্রত্যক্ষ নির্দেশে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা হত্যার নেপথ্যে কুশিলবদের বিচার চাই।
আদর্শের মুর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছিল এই চার নেতা। দেশপ্রেমিকের প্রতিচ্ছবি দৃষ্টান্ত ছিল তাঁরা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও আনুগত্য ছিল তাদের। সকল লোভ লালসার উর্ধ্বে ছিলেন তারা। দমন নিপিড়ন, ভয়ভীতি কোনটায় তাদেরকে নীতি ও আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। বেঁচে থাকা চারনেতার কারনে খুনিরা স্বস্থিতে ঘুমাতে পারেনি। তাইতো সেদিন রাতরে অন্ধকারে বন্দিমানুষ গুলোকে পাখি শিকারের মত গুলি করে হত্যা করেছিল। এই ভেবে যেন বঙ্গবন্ধু হত্যার আর কোন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর জীবিত না থাকে। রাজনীতির ইতিহাসের ১৫ই আগষ্ট যেমন একটি কলঙ্কিত অধ্যায় তেমনি ৩ নভেম্বর একটি জঘন্যতম হত্যা দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই নিষ্টুরতা ও পৈশাসিকতার ভয়াল ক্ষত চিহ্ন এখনো আমাদের হৃদয়কে কম্পিত করে। বাঙ্গালী ইতিহাসে তাদের অবদান চির-ভাস্কর হয়ে থাকবে। মেহেরপুরের বৈদ্যনাত তলায় গঠিত মুজিব নগর সরকারের নেতৃত্ব দানকারী বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর এই চার নেতাকে জাতি আজীবন ঠাঁই দিবে তাদের স্মৃতির মণিকোঠায়। ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি তিনি যেন জাতীয় ৪ নেতাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।

লেখক: শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।

এই বিভাগের সব খবর

অঞ্জলি লহ মোর হে প্রিয় কবিগুরু

২৫ শে বৈশাখ বাঙালি জাতির কাছে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতিক উৎসবের দিন। প্রতিবছর এদিনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাঙালি...

বিশ্বমানের পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলাই আমার প্রধান লক্ষ্য : সিডিএ’র চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেছেন, চট্টগ্রামকে বাসোপযোগী এবং বিশ্বমানের পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলাই আমার প্রধান লক্ষ্য। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি...

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আইওএম’র কার্যকর ভূমিকা আশা করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২৪ প্রকাশ করেছে। ২০০০ সাল থেকে দ্বিবার্ষিকভাবে প্রকাশ হয়ে আসা এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন এবারই প্রথম তাদের সদর...

সর্বশেষ

অঞ্জলি লহ মোর হে প্রিয় কবিগুরু

২৫ শে বৈশাখ বাঙালি জাতির কাছে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ...

বিশ্বমানের পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলাই আমার প্রধান লক্ষ্য : সিডিএ’র চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ...

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আইওএম’র কার্যকর ভূমিকা আশা করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২৪ প্রকাশ...

মহামারী মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও সাড়াদানে উচ্চ-পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অপরিহার্য : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা স্থাপন, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা পদক্ষেপে...

উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে দেশের...

২ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় বাংলাদেশের

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত...