গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত। রেজি নং – ১৬৯

চাই শেখ রাসেল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়

১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িতে রাত দেড়টায় রাসেলের জন্ম। শেখ রাসেলের জন্ম নিয়ে ভাই-বোনদের মধ্যে ছিল সে কী উত্তেজনা! সে সময় আজকের মতো আগে থেকেই আগত শিশুটি ছেলে কী মেয়ে তা জানার কোন উপায় ছিল না। রাসেলের জন্মের আগে দুই বোন ভেবেছিলেন, বোন হলে তাঁরা দলে ভারী হবেন। আর ভাইয়েরা ভেবেছিলেন ভাই হলে তাঁদের দল ভারী হবে। এই নিয়ে ভাই- বোনদের মধ্যে পাল্লা লেগে গিয়েছিল। সবাই ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখে জেগে থাকে নতুন অতিথির আশায়। অপেক্ষার পালা শেষ হলো। খবর এলো তাঁদের ভাই হয়েছে, তখন সবকিছু ভুলে সবাই আনন্দে আত্মহারা। মাথাভরা কালো চুল, তুলতুলে শরীর অপূর্ব মুখচ্ছবি। অনেক বছর পর ছোট্ট একটি শিশু তাঁদের ঘর আলো করে এসেছে। সবার মধ্যে খুশির জোয়ার বইতে থাকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিশ্বনেতা, দার্শনিক, বিজ্ঞানি বারট্রান্ড রাসেলের ভক্ত। সেই মহান মানুষের নামানুসারে তিনি ছেলেন নাম রেখেছিলেন রাসেল। সেই আদরের ধন ১০ বছরের রাসেলকে নিষ্ঠুর ঘাতকের হাতে প্রাণ দিতে হলো অকালে। ১৯৭৫ সালের পনেরই আগস্ট বাঙালির জাতীয় শোকের দিন। কালোরাতে হত্যাকণ্ডের শিকার পাঁচ শিশু কিশোর হলো- বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেল, বেবি সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু ও আবদুল মঈন খান রিন্টু।
শেখ রাসেল তখন ছিল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। রাসেল ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখত। বাবার মত বড় হবে সে। অনেক বড়। সারাদেশের মানুষ, দুনিয়ার মানুষ তাকে জানবে, চিনবে। কিন্তু ঘাতকেরা তার সেই স্বপ্নপূরণ হতে দেয়নি। ঐদিনে হত্যাকণ্ডের শিকার হয়েছিল রাসেলের খেলার সাথী একই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী কিশোরী বেবি সেরনিয়াবাত। তার বাবা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ছিল বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি এবং মন্ত্রিসভার সদস্য। তারই ছোট ভাই আরিফ সেরনিয়াবাত। সেও ছিল ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। আরেক শিশু সুকান্ত আবদুল্লা বাবু। সুকান্ত হলো হাসনাত আবদুল্লার বড় ছেলে। বাবুর বয়স ছিল মাত্র চার বছর। অন্য কিশোরটির নাম হলো আবদুল মঈন খান রিন্টু। সেইদিন রিন্টু বেড়াতে এসেছিল আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায়। রিন্টু সেই বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। জননেতা আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই ছিল রিন্টু। এই পাঁচ শিশু কিশোরকে ঘাতকেরা সেইদিন নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকদের আচরণের কথা ভাবলে শরীরের রক্ত হিম হয়ে যায়। শেখ রাসেল বাঁচতে চেয়েছিল। অনেক কাকুতি মিনতি করে জানিয়েছিল সে ‘আল্লাহর দোহাই লাগে তোমরা আমাকে মেরো না। আমাকে জার্মানিতে বড় আপুর কাছে পাঠিয়ে দাও।’ কিন্তু ঘাতকেরা তার সেই আকুতি শোনেনি। দশ বছরের নিষ্পাপ ফুটফুটের শিশুর কান্নায় তাদের মন একটুও গলেনি।
জন্ম-মৃত্যু প্রকৃতির নিয়ম। এ নিয়মকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু মৃত্যুর নির্মমতায়, বিশ্ববিবেককে কাঁদায়। শিশু রাসেল কোন রাজনীতিতে ছিল না। ওই বয়সে সে খেলনা নিয়ে খেলত। তার দিনলিপি ছিল অন্য সাধারণ শিশুদের মতাই। তার পিতা রাষ্ট্রনায়ক বাংলাদেশের অধিকর্তা জাতির পিতা এমন ভাবনাও তার মধ্যে ছিল না। তা স্বাভাবিক কারণেই। ভবিষ্যতে সে কী হতে পারত, কিংবা কী হতে পারত না- তা আলোচনার দাবি রাখে না। তবে বাংলার সাধারণ মানুষের মনস্তাত্তি¡ক ভাবনার মধ্যে এ বিষয়টি স্থান পাওয়া নিশ্চয়ই অমূলক নয় যে, রাসেলও বেঁচে থাকলে সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়কই হতো। কেননা তার শরীরে ছিল শৌর্য বীর্যের সাহসী রক্ত। বঙ্গবন্ধু তার শিশুপুত্রকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতেন। ওই বয়সেও তাকে নির্ভীক একজন দেশ প্রেমিক সৈনিকের মতোই মনে হতো। তার চাহনি, কথা বলার ঢং ও অন্যান্য শিশুসুলভ আচরণের মাঝেও একটা ব্যক্তিত্বের ছাপ ফুটে উঠত। বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত চেহারা নির্দেশ করে বড় হয়ে সে কী হবে। আমাদের অনুভূতির গভীরতায় শেখ রাসেল যে অন্য এক মহীয়ান পুরুষের অস্তিত্ব লুকিয়ে আছে। আশা-ভালবাসা জাগানো হৃদয়ের অকৃত্রিম অনুষঙ্গ হিসেবে শিশু রাসেল এখনও চলাচল করে। জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ ঘোষণা করেছে ১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর। ৫৪ ধারা সম্বলিত এ সনদে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর ১৯১টি দেশ তা অনুমোদন করেছে- ‘যেখানে শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত একটি জীবনযাত্রার মান ভোগের অধিকার এবং অবকাশ যাপন, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’ দেশেও জাতীয় শিশুনীতি-২০১০, জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০, জাতীয় শিশু সুরক্ষা নীতি প্রণীত হয়েছে।
জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ অনুসরণ করে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নীতিমালা, আইন করা, শিক্ষার ব্যবস্থা, চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং তাদের গড়ে ওঠা, খেলাধুলা, প্রতিযোগিতা সব ব্যবস্থাই ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর সুফলও জাতি ভোগ করছে। শুরুটা কিন্তু যথারীতি বঙ্গবন্ধুর শাসনামল থেকেই। তিনি শিক্ষার প্রতি বিশেষ নজর রাখতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন শিক্ষিত জাতি ছাড়া বাংলার মুক্তি সম্ভব নয় এবং তাঁর জীবন ও কর্মে তিনি শিক্ষার গুরুত্ব ও শিক্ষকের মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অত্যন্ত আন্তরিক, শ্রদ্ধাশীল ও আবেগপ্রবণ ছিলেন। তিনি নিজেও শিক্ষার্থী হিসেবে ছিলেন বিনয়ী এবং শিক্ষকদের প্রতি ছিল অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তাঁর শিক্ষক পণ্ডিত সাখাওয়াত উল্লাহ পাটোয়ারী অন্যত্র চলে যাওয়ার সময় তাঁর বিছানাপত্রের গাঁটরি নিজের মাথায় করে পাটগাতি পৌঁছে দিয়ে শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের নিদর্শন রেখেছিলেন। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেও বঙ্গবন্ধু নির্দ্বিধায় শিক্ষকদের কাছে টেনেছেন। ১৯৭২ সালে তাঁর শিক্ষক বেজেন্দ্রনাথ সূত্রধরকে সরকারি বাসভবনে আমন্ত্রণ করে সমস্ত প্রটোকল ভেঙে গেটে এসে পায়ে ধরে সালাম করে সসম্মানে নিজের অফিসে নিয়ে নিজের আসনে বসিয়ে দিয়েছিলেন। শিক্ষকদের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার অনেক নিদর্শন পাওয়া যায় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে। অনেক রাশভারী ও গম্ভীর শিক্ষকও তাঁকে বিশেষ স্নেহ করতেন, যেমনটা করতেন গোপালগঞ্জ খ্রিস্টান মিশনারি হাইস্কুলের শিক্ষক গিরিশ বাবু। শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত বা আদেশকে তিনি অতুলনীয় শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে নিতেন। তিনি শিক্ষকদের কাজের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্তও করতেন। যেমনটা দেখা গেছে ছাত্রজীবনে তাঁর অন্যতম ‘আদর্শ’ শিক্ষক কাজী আবদুল হামিদের প্রতিষ্ঠিত ‘মুসলিম সেবা সমিতি’র জন্য কাজ করতে এবং পরবর্তী সময়ে এর দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে। অর্থমূল্যের ব্যাপারেও বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা আদর্শ ছিল সুস্পষ্ট। শিক্ষাখাতে বিনিয়োগকে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ বলে অভিহিত করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন উপহার দিয়েছেন, আইয়ুব খান প্রণীত ১৯৬২ সালের অধ্যাদেশ বাতিল করে ১৯৭৩-এ দেশের তৎসময়ের চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেছিলেন। তিনি শিক্ষকদের মর্যাদায় বিশ্বাস করতেন বলেই ১৯৭৪ সালে নোয়াখালী জেলায় সার্কিট হাউসে অবস্থানরত অবস্থায় একজন বৃদ্ধ শিক্ষক পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তিনি নিজেই দেখা করেন, রাতে থাকা-খাওয়ারও ব্যবস্থা করেন। শিক্ষা ও শিক্ষকদের সবার ওপরে ভাবতেন বলেই স্বাধীনতার পর ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় একযোগে একসাথে জাতীয়করণ করেন এবং চরম আর্থিক সংকটের মাঝেও তাঁদের বেতন-ভাতার বিষয়ে কোনো আপস করেননি।
মানুষের সঠিক কল্যাণ ও মঙ্গল নিহিত রয়েছে পৃথিবীর সকল ধর্মবর্ণের মতবাদেও। আমরা যদি জীবন নির্বাহের ক্ষেত্রে পবিত্র এইসব নির্দেশগুলো যথাযথভাবে পালন করি, তাহলে দেখব: সমাজ, ব্যক্তি তথা রাষ্ট্রীয় জীবনে নেমে আসবে অপার শান্তি। শুধু তাই নয়, পার্থিব ও পারলৌকিক জীবন হবে সৌন্দর্যমণ্ডিত। মানুষের বিপদে-আপদে সাহায্য করা, রোগ- শোকে সান্ত্বনা দেওয়া, এমনকি অন্যের সুখ-দুঃখে সহানুভূতি বা সমবেদনা প্রকাশ করার জন্যও প্রতিটি ধর্মবিশ্বাসে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। মানুসের প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ ও হিংসা পরিহার করে কল্যাণের জন্য উদারতা, মমত্ববোধ ও সমবেদনা প্রকাশই হলো ধর্মীয় জীবনাদর্শের মৌলিক শিক্ষা। ঘাতকেরা এইসব ন্যায্য আবেদন-সমবেদনা, সহানুভূতির সামান্যতম সৌজন্যবোধ দেখায়নি। রাসেল এখন আমাদের অন্তরালের শক্তি। প্রেরণার উৎস। দরকার এর প্রাতিষ্ঠানিকতাকে অহ্বান করা, চিরজাগরুক রাখা।
বাংলাদেশে কত জানা-অজানা রথি-মহারথির ব্যক্তিবিশেষের নামে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, স্টেডিয়াম, বিমানবন্দর, রাস্তা-ঘাটের নামকরণ করা হয়েছে, হচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, শেখ রাসেলের নামে গুরুত্বপূর্ণ খাত শিক্ষাক্ষেত্রে কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের নামকরণ করা হয় নাই। অথচ শেখ রাসেল বিশ্বে সকল শিশুদের মধ্যে ত্যাগ, বিসর্জন ও প্রেরণার শীর্ষ স্থানটি দখল করে আছে। আমরা যারা উন্নয়ন ও প্রগতির কথা বলি, শান্তি ও মানবতার কথা বলি, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের কথা বলি এবং অধিকার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলি; সেই আমাদের সামনে বড় এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে যায় শেখ রাসেল। কথায় আছে, কোন কিছু না করার চেয়ে দেরীতে করা মন্দের ভাল। অপেক্ষা যখন করেছি, করি না আরো কয়েকটি দিন। হোক একটি এবং দেশে একমাত্র আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেটি শেখ রাসেল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদে ৫০০০ (পাঁচ হাজার) শয্যা বিশিষ্ট বিশ্বের বৃহত্তম একটি হাসপাতাল থাকবে। থাকবে সুনির্দিষ্ট গবেষণার সুযোগ, হবে আবিস্কার, সুফল ভোগ করবে বিশ্ববাসী। গবেষণা হবে শিশু বিকাশ নিয়ে। শিশুদের ভেতরে যে মেধা, যে মনন, যে শক্তি তা বিকশিত হবার সুযোগ হবে।
স্বাভাবিকভাবে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তির শিক্ষা, বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর, বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এগুতে হবে। দার্শনিক কনফুসিয়াস বলেছিলেন, ‘এই পৃথিবী আমরা পূর্বপুরুষদের থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাইনি, বরং আমরা এটাকে ধার নিয়েছি আমাদের উত্তর প্রজন্ম থেকে।’ কাজেই এই ধার করা পৃথিবীকে যেভাবে পেয়েছি, তার চেয়ে ভালো এবং ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী করে হস্তান্তর করে যাওয়ার নৈতিক দায় আমাদের। যে শিশু ভূমিষ্ঠ হয়েছে আজ ভোরে, সে শুধু শারীরবৃত্তিক কর্মকাণ্ড  একটা জীব নয়, সে এসেছে কতগুলো অধিকার নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার, সুশিক্ষা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হলে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে হবে, আর সেজন্য মানবশিশুর দেহটিকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। এই সম্পদ রাতারাতি তৈরি হবে না। শিশুদের এই অধিকারগুলো রক্ষায় আজকে আমরা কী পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ করছি, তার ওপর নির্ভর করছে ত্রিশ, চল্লিশ বা পঞ্চাশ বছর পর বাংলাদেশ কেমন থাকবে। এটা শুধুই আশা-আকাক্সক্ষার আবেগতাড়িত বাণী চয়ন নয়, এটা নির্জলা বিজ্ঞান। এই বিজ্ঞান ধারণাকেই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রূপদান করতে হবে। সমসাময়িকীকরণ করতে হবে। আন্তর্জাতিকীকরণের মধ্যে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে, সর্ববিষয়ে উন্নতি করেছে। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার স্বপ্নও বাস্তবের কাছাকাছি। ধারেকাছে নেই কেবল আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান নির্ণয় ধারণায় ক্ষেত্রটি। এই অপূর্ণতা পূর্ণতা পাক শেখ রাসেলের আত্মত্যাগ, আত্মদানের শক্তি-সাহস সঞ্চয়ের মাধ্যমে।
সর্বশেষে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা জানাই বাংলাদেশসহ পৃথিবীর আর কোন দেশে যেন এই রকম নির্মম হত্যাকাণ্ড না ঘটে। সারা পৃথিবী হোক শিশুর স্বর্গরাজ্য। শিশুরা যেখানে হাসবে খেলবে আর ঘুরে বেড়াবে মুক্ত বিহঙ্গের মত। পাঙ্খীরাজের পিঠে চড়ে ওরা ভেসে বেড়াবে আকাশে বাতাসে। তাদের হাসিতে বাগানে ফুটবে হাসনাহেনা, চাপা, বেলি ও রজনীগন্ধা। প্রজাপতি ডানা মেলবে ফুলবাগানে। পরিরা এসে তাদের কানে কানে কথা বলবে। তবেই আমরা ভালো থাকবো। ভালো থাকবে সারা পৃথিবী। ফুলের মত নিষ্পাপ শিশুরাই হয়ে উঠবে আমাদের আগামীর যথার্থ কর্ণধার। এইসব শিশুদের যথাযথভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ পাক আন্তর্জাতিকমানের “শেখ রাসেল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।”

এই বিভাগের সব খবর

অঞ্জলি লহ মোর হে প্রিয় কবিগুরু

২৫ শে বৈশাখ বাঙালি জাতির কাছে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতিক উৎসবের দিন। প্রতিবছর এদিনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাঙালি...

বিশ্বমানের পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলাই আমার প্রধান লক্ষ্য : সিডিএ’র চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেছেন, চট্টগ্রামকে বাসোপযোগী এবং বিশ্বমানের পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলাই আমার প্রধান লক্ষ্য। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি...

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আইওএম’র কার্যকর ভূমিকা আশা করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২৪ প্রকাশ করেছে। ২০০০ সাল থেকে দ্বিবার্ষিকভাবে প্রকাশ হয়ে আসা এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন এবারই প্রথম তাদের সদর...

সর্বশেষ

অঞ্জলি লহ মোর হে প্রিয় কবিগুরু

২৫ শে বৈশাখ বাঙালি জাতির কাছে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ...

বিশ্বমানের পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলাই আমার প্রধান লক্ষ্য : সিডিএ’র চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ...

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আইওএম’র কার্যকর ভূমিকা আশা করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২৪ প্রকাশ...

মহামারী মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও সাড়াদানে উচ্চ-পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অপরিহার্য : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা স্থাপন, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা পদক্ষেপে...

উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে দেশের...

২ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় বাংলাদেশের

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত...