জনৈক মো. সোহেল বাঁশখালীস্থ হালুয়াঘোনা লটমনী এলাকাস্থ ওয়ান ষ্টার নামক ব্রিকফিল্ড দেখাশুনা করে। সামিহা ইসলাম প্রকাশ রাইশা (১৯) সাথে তার ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাধে তাহাদের মধ্যে প্রায় সময়ই ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথাবার্তা হত।সামিহা ইসলাম প্রকাশ রাইশা মোঃ সোহেলকে জানায় সে এসএসসি পাশ করে বহদ্দারহাটস্থ একটি কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য কান্নাস্বরে সমস্যার কথা বলে সোহেল এর কাছে দুই হাজার টাকা ধার হিসেবে চায়। তখন সোহেল মানবিক কারণে সামিহা ইসলাম রাইশাকে ২হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাবো বলে জানালে সে দেখা করার জন্য সোহেলকে বারবার অনুরোধ করতে থাকে।
একপর্যায়ে সোহেল সামিহা ইসলাম প্রকাশ রাইশার কথামতো তার সাথে ১০ ফেব্রুয়ারি(বৃহস্পতিবার) রাত ৯.১০ টায় কোতোয়ালী থানাধীন জামালখান চেরাগী পাহাড় মোড়স্থ ৬৪নং সানমার স্প্রিং গার্ডেন ভবনের সামনে ফুটপাতের উপর দেখা করিতে গেলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা রাইশার সহয়োগি ছিতাইকারী সাইফুল ইসলাম (২৭) ও মনসুর মোল্লা প্রকাশ তৌহিদ (৩৩) সহ অজ্ঞাতনামা ১ জন মোহাম্মদ সোহেলকে চারদিক থেকে ঘিরে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে তার মুখের বাম পাশে, ঠোটে, পেটে, বুকে ফুলা জখম করে। এ সময় তারা মারধর করতে করতে ভুক্তভোগি সোহেলের কাছ থেকে ইট বিক্রয় বাবদ নগদ ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা ও ১টি স্যামসং টাচ মোবাইল জোরপূর্বক ছিনাইয়া নেয়।
সোহেল ছিনতাইকারী ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করলে আশেপাশে থাকা টহল পুলিশসহ পথচারী এগিয়ে এসে প্রতারক সামিহা ইসলাম রাইশা তার সহযোগি সাইফুল ইসলাম’কে আটক করলে বাকি দুজন পালিয়ে যায়।
প্রতারিত মো. সোহেল আসামীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় এজাহার দায়ের করলে দ্রুত বিচার আইনে ১টি মামলা রুজু হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/মো. ইকবাল হোসেন ভুঁইয়া, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) জনাব রুবেল হাওলাদার এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ ১১ফেব্রুয়ারি(শুক্রবার)অভিযান পরিচালনা করে কোরবানীগঞ্জ এলাকা হতে রাইশার সহযোগি সটকে পড়া মনসুর মোল্লা প্রকাশ তৌহিদ (৩৩)’কে গ্রেফতার করে। এ সময় তার হেফাজত হইতে ছিনতাইকৃত টাকার মধ্যে নগদ ৩হাজার টাকা, ১টি মোবাইল ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান যে, সাইফুল ইসলাম ও মনসুর মোল্লা প্রকাশ তৌহিদ কৌশলে তাহাদের বন্ধু সামিহা ইসলাম রাইশাকে দিয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিভিন্ন লোকের সাথে চ্যাটের মাধ্যমে কাউকে আর্থিক সমস্যার কথা বলে, কাউকে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ইমোশনাল করে ফেলে। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তিকে দেখা করতে বলে।দেখা করতে আসা ব্যক্তিকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা এই ব্যক্তির সব ছিনিয়ে নেয়।
সামিহা ইসলাম রাইশা পড়াশুনার নাম করে পরিবার থেকে আলাদাভাবে চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট এলাকায় ভাড়া বাসায় একা বসবাস করে।তাকে ব্যবহা করে ধৃত সাইফুল ইসলাম ও মনসুর মোল্লা প্রকাশ তৌহিদ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে থাকে। তারা ইতিপূর্বেও একই কৌশল অবলম্বন করে একাধিক ছিনতাই করেছে বলে স্বীকার করেছে।
সামিহা ইসলাম রাইশা সাতকানিয়া থানার সোনাকানিয়ার মীর্জাখীল ফজিন্নার বড় বাড়ি/ গুরা মিয়া খলিফার বাড়ীর মো. নুরুল ইসলামের মেয়ে। সাইফুল ইসলাম একই থানাও ইউনিয়নের মীর্জাখীল চৌধুরী পাড়ার জামাল সাহেবের বাড়ীর ফরিদুল আলমের পুত্র। মনসুর মোল্লা প্রকাশ তৌহিদ চান্দগাঁও আবাসিকের মৃত এম এ বাছেদের পুত্র।