শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার উদ্যোগে অনাদীরাদি গৌবিন্দ, লীলা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জাতীয় জন্মাষ্টমী মহোৎসব উদযাপন উপলক্ষে বর্নাঢ্য মহাশোভাযাত্রা, ভাগবতীয় ধর্মসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দের অষ্টকালীন লীলা স্মরণ কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্নাঢ্য কলেবর ও হাজারো ভক্তের উপস্থিতিতে।উৎসবের মুল অনুষ্ঠানস্থল ছিলো স্বর্গীয় বানী নাথ দাস প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্দির সন্দ্বীপ টাউন জগন্নাথ দেবালয়।
২ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে সন্দ্বীপের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাকযোগে প্রথমে এনাম নাহার মোড়ে এসে জড়ো হয় হাজারো ভক্তরা। এরপর বর্নাঢ্য সাজে শোভাযাত্রা শুরু করে অনুষ্ঠানস্থল সন্দ্বীপ টাউন জগন্নাথ দেবালয়ে এসে ভাগবতীয় আলোচনা সভায় অংশ গ্রহন করে।বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মুল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ছাত্রনেতা ও তরুন সংগঠক বিদ্যুৎ চন্দ্র দাস। উক্ত ভাগবতীয় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ পৌসভার মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নরোত্তম গোস্বামী। প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও সাহিত্যিক শ্রী স্বপন কুমার বিশ্বাস, বিশেষ বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা মাষ্টার শ্রী রনজিত কুমার শীল, নিতাই গৌর অঙ্গনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বনমালী গোস্বামী।বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাষ্টার রনজিত কুমার দাস,পুজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি মাষ্টার গোপাল চন্দ্র দাস,মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল কান্তি দাস,জগন্নাথ দেবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহ-সভাপতি অরুন রায় চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক কবি ও সাংবাদিক বাদল রায় স্বাধীন।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কমল কান্তি রায়।
যুগ্ন ভাবে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মাষ্টার বিধান চন্দ্র দাস ও সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্রী হরেন্দ্র কুমার দাস। ভাগবতীয় আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভক্তিগীতি পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিল্পী টিটু সুত্রধর ও তার দল।এরপর অধিবাস কীর্তন শেষে অষ্টকালীন লীলা কীর্তন শুরু হয় ৭ সেপ্টেম্বর ভোর রাত থেকে। লীলা কীর্তন পরিবেশন করেন বগুড়া থেকে আগত উত্তম কুমার সরকার, শ্রীমতি শান্তনা রানী মোহন্ত ও জয়পুরহাট থেকে আগত কুমারী অদিতি আলো সরকার ও তাদের কীর্তনীয়া দল।অনুষ্ঠানে সহযোগী ছিলেন কার্তিক চক্রবর্তী, শৈবাল দে মনা, রনজিত মজুমদার, নিরু মজুমদার সহ কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তারা বলেন দুষ্টের দমন ও সৃষ্টের পালনের লক্ষে এবং আসুরিক শক্তিকে ধ্বংস করতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিলো। কিন্ত এখনো বাংলাদেশ সহ পুরো বিশ্বে সেই অশুভ শক্তি এখনো মাঝে মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। সেই অশুভ শক্তি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিদ্বেশ ছড়িয়ে ধরাধামকে অস্থির করে তোলে। তাই ভগবান শ্রী কৃষ্ণের মুখ নিঃসৃত গীতার বানী হৃদয়ে ধারন করে তার নির্দেশিত বানী মোতাবেক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। তবেই পৃথিবীতে শান্তি বিরাজ করবে