বহুমাত্রিক লেখক ও ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার (১২ আগস্ট)।
২০০৪ সালে জার্মানির মিউনিখের নিজ ফ্লাটে এই দিনেই মৃত্যু হয় শক্তিমান এ লেখকের।
হুমায়ুন আজাদের জন্ম বিক্রমপুরের রাঢ়িখালে ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল। পেশাগত জীবনে লেখালেখির পাশাপাশি তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক।
হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে উপস্থিত থাকবেন কবি মারুফুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, ড. প্রতিভা রাণী কর্মকার ও হুমায়ুন আজাদের মেয়ে মৌলি আজাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সব্যসাচী ও প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদ। পরে উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। একই বছরের ৭ আগস্ট গবেষণা বৃত্তি নিয়ে জার্মানি যান। এর পাঁচ দিন পর (১২ আগস্ট) মিউনিখে তার নিজ ফ্ল্যাটে নিথর দেহ পাওয়া যায় এ শক্তিমান লেখকের।
হুমায়ুন আজাদের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ষাটের বেশি। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আছে বাংলা ভাষা (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড), অলৌকিক ইস্টিমার, ৫৬ হাজার বর্গমাইল, সবকিছু ভেঙে পড়ে, রাজনীতিবিদগণ, একটি খুনের স্বপ্ন, পাক সার জমিন সাদবাদ, রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তা, নারী (নিষিদ্ধ ১৯৯৫), প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নিচে, আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম, বাঙলা ভাষার শত্রুমিত্র, বাঙলা ভাষা (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড), ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না প্রভৃতি।