রমজানের কঠোর সিয়াম সাধনা শেষে আসে ঈদুল ফিতরের আনন্দ বার্তা। ‘রম্জ’ শব্দের অর্থ জ্বালিয়ে দেয়া। রিপুর তাড়নায় মানুষ সারাবছর অন্যায়, অবিচার, পাপাচারে লিপ্ত থাকে, রমজানের রোজা পালনের মধ্যদিয়ে সে পরিশুদ্ধি লাভ করে।
ঈদ আনন্দের। আকাশে শাওয়ালের শুভ্র চাঁদ দেখা যাবে। মুসলমানের ঘরে আসবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ সবার ঘরে সমান পরিমান আনন্দ আনে না। যাদের অর্থ আছে এদের ঘরে ঈদ আনন্দের। কিন্তু যার ঘরে দুবেলা দুমুঠো ভাত নেই; তাদের ঘরে ছড়িয়ে পড়বে বিষাদের ছোঁয়া। এই প্রসঙ্গে হাদিসে কথিত হয়ে থাকে এরুপ যে ব্যক্তি দানশীল সে আল্লাহর নিকটবর্তী। আর যে আল্লাহর নিকটবর্তী হবে সে জান্নাতের অধিবাসী হবে ও সে মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠবে। জাহান্নাম থেকে বহুদূরে থাকবে। আর কৃপণ আল্লাহর থেকে দূরবর্তী।
আর যে আল্লাহর থেকে দূরবর্তী সে জাহান্নামের অধিবাসী, মানুষ কাছে অপ্রিয় এবং জাহান্নামের নিকটবর্তী। কৃপণ ইবাদতকারী থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় অজ্ঞ দানশীল। (আবু দাউদ)। এই অসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ালে আল্লাহ কেয়ামতের দিন মানুষের পাশে দাঁড়াবে। যে দিন কোনো সাহায্যকারী থাকবে না। অসহায় মানুষকে অন্নদান, বস্রদান করলে আল্লাহ তার প্রতি কৃতার্থ হয়।
গরিবদের সহায়তা প্রদানকারীর ব্যাপারে বেহেশতের সুসংবাদ দিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করেছেন, ‘একটি রুটি দানের কারণে তিন ব্যক্তিকে জান্নাতে পাঠানো হবে। ১. আদেশদাতা, ২. ত্রাণ প্রস্তুতকারক ৩. ত্রাণ পরিবেশক।আমরা যদি একটু সতর্ক হই। আমাদের মার্কেটিং থেকে একটু বাঁচিয়ে রাস্তার পাশে থাকা শিশুদের জন্য যদি একশ টাকা দিয়ে ঈদের উপহার দিই- তাহলে এটা হবে প্রকৃত মুসলমান ও রোজাদের কর্ম। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে অসহায়দের পাশে দাড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই। এদের ঈদ ও হোক আনন্দের।