গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত। রেজি নং – ১৬৯

মোছলেম উদ্দিন আহমদ ছিলেন কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ

১৯৭৭ সাল থেকে অনেক কাছে থেকে আমার দেখা রাজনীতিবিদ আলহাজ মোছলেম উদ্দিন আহমদ একজন কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ ছিলেন। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান, সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ, বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে আন্দোলন, সংগ্রাম, হরতাল, ধর্মঘট, অবরোধ, লংমার্চ, বন্দরের এসএস পোর্ট বিরোধী আন্দোলন, অবৈধ অস্ত্র আমদানী বিরোধী আন্দোলন, বন্দর মাফিয়া মুক্ত করার আন্দোলন, বন্দর সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন আন্দোলন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে শিবির মুক্ত করার আন্দোলন, জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ডাকে সবধরণের আন্দোলনে খুব কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা আমার আছে। জনাব মোছলেম উদ্দিন আহমদ আড়ালে থাকা বা আন্দোলনের মাঠ থেকে সরে যাওয়ার মানুষ ছিলেন না। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি. ঐতিহাসিক পলোগ্রাউণ্ড মাঠে জনসভায় যোগ দিতে আসেন।

সেদিন মরণব্যাধি ক্যান্সার নিয়ে তিনি পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় ছিলেন এবং বক্তব্যে কালুরঘাটে কর্ণফূলী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে বক্তব্য দেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল কালুরঘাটে একটি নতুন সেতু দেখে যাওয়া তা আর হলো না। মঈনউদ্দিন খান বাদল এমপি ও মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি দুইজনই একটি দাবী কালুরঘাটে নতুন ব্রীজ নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। বিধাতার নিয়মে দুইজন আজ পরপারে নতুন ব্রীজ দেখার স্বাদ তাদের হলো না। হয়ত বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আল্লাহতা’লা আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন করলে তিনি এমপি মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও বাদলের ইচ্ছা শতভাগ পূরণ করবেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত মোছলেম উদ্দিন আহমদ দল ও দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।’ মোছলেম উদ্দিন আহমদ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বোয়ালখালীর ঐতিহ্যবাহী স্যার আশুতোষ কলেজ, সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ, চট্টগ্রাম শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন গার্লস হাইস্কুল, গোমদণ্ডী পাইলট হাইস্কুল, কধুরখীল স্কুল এন্ড কলেজ, পূর্ব কধুরখীল স্কুল এন্ড কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্ণিং বডির সভাপতি ও সদস্য ছিলেন। মোছলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৬৯ সালে সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব থাকাকালীন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে মোছলেম উদ্দিন, সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুস সহ প্রেপ্তার হন। কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়ে পাগলের অভিনয় করে কৌশলে মুক্তি পান। কারা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে সরকারের নিকট তাদের পাগল হয়ে পড়ার বিষয়টি অবগত করলে অন্যদের সুবিধার্থে জনাব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও মোহাম্মদ ইউনুসকে এম.এ. আজিজ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ পূর্বকোণ বর্তমান গোল চত্বরের কাছাকাছি ফেলে যায়। সেখান থেকে তারা কৌশলে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগ গঠিত হলে এড. জসিম উদ্দিন চৌধুরী সভাপতি এবং মোছলেম উদ্দিন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালের শেখ ফজলুল হক মনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গঠন করলে ১৯৭৪ সালে মোছলেম উদ্দিন আহমদকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত করেন।

জেনারেল জিয়ার শাসনামলে রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল পরে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত জনাব মোছলেম উদ্দিন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি বোয়ালখালী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে জনাব মোছলেম উদ্দিন আহমদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন টানা ২৫ বছর। ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর জননেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র মৃত্যুর পর ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। জনাব মোছলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পটিয়া থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীকে দু’বার সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। তিনি লালখান বাজার ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন। চট্টগ্রাম ৮ নির্বাচনি এলাকার সংসদ সদস্য জাসদ নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল মৃত্যুবরণের পর ২০২০ সালে ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনাব মোছলেম উদ্দিন আহমদ প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা মহান জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।

এই নেতা সর্বশেষ ১২ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি. অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে দ্বিতীয় বারের মত সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২০-২০২১ সালে অতিমারি করোনাকালীন সময়ে তিনি স্বস্ত্রীক দুইবার করোনায় আক্রান্ত হন। আলহাজ¦ মোছলেম উদ্দিন আহমদ ৮ দল, ১৫ দল ও ২২ দলীয় জোটে গণতন্ত্র, ভাত ও ভোটের আন্দোলনেও প্রথম সারির নেতা ছিলেন। চট্টগ্রামের মাটিতে এম.এ. আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এম.আর. সিদ্দিকী, এম.এ. মান্নান, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, এম.এ. ওহাব, ইউনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আতাউর রহমান খান কায়সার, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আলম চৌধুরী, আবু ছালেহ, ইসহাক মিয়া, বর্তমান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ. সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান ও তার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানকে নিয়ে রাজনীতির কৌশল নির্ণয়, আন্দোলন ও মহান জাতীয় সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। মানুষ মরণশীল একদিন সবাইকেই চলে যেতে হবে না ফেরার দেশে, তবে তাঁর কর্মফলকেই মানুষ স্মরণ করে। মোছলেম উদ্দিন কর্মী থেকে নেতা হওয়া এবং নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকার অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। মহান সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে ওঠে এসেছেন।

ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে কখনো তার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে এবং তার পূর্বের আন্দোলনে চট্টগ্রামে তিনি সবসময় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। ১৯৭৫ সাল আমাদের জন্য একটি কলংকময় অধ্যায়। মহিউদ্দিন চৌধুরী, মৌলভী সৈয়দ সহ যারা সেদিন প্রতিবাদ করেছিলেন, মোছলেম উদ্দিন তাদের সাথেই ছিলেন, তারা সেদিন সকলে মিলে প্রতিবাদ করেছিলেন। ওই সময় মৌলভী সৈয়দকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে দিনের পরদিন টর্চার করে জিয়াউর রহমান তাকে হত্যা করে। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন সহ আমাদের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ছিলেন। খালেদা জিয়া যে ভোটচুরি করেছিল, তার বিরুদ্ধে আমরা যে, ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করেছিলাম, সেই আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। আমাদের প্রতিটি আন্দোলনে তার উপস্থিতি আমরা উপলব্দি করেছি। লালদিঘীর ময়দানে মিটিং করতে গেলে সেখানে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করা হয়েছিল (২৪ জানুয়ারি ১৯৮৮ খ্রি.), একবার না-দুই/তিনবার আমি গুলির মুখোমুখি হই। মোছলেম উদ্দিন ভাইকে সব সময় পাশে পেয়েছি। ২০০৭ সালে আমাকে দেশে আসতে বাধা দেয়া হয়েছিল। ওই সময় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার, নির্যাতন হয়েছিল। তারপরও তিনি সক্রিয় ছিলেন, পিছু হটেননি। আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ একজন কর্মীকে আমরা হারিয়েছি।

তিনি আমাদের প্রতিটি দুঃসময়ে দলের পাশে যেমন ছিলেন, জাতীয় স্বার্থেও তিনি যথেষ্ট অবদান রেখে গেছেন।’ জনাব মোছলেম উদ্দিন আহমদ প্রয়াত নেতা সাবেক মেয়র আলহাজ¦ এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে রাজনীতিতে থেকেছেন। এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৯৮৬ সালে রাউজান থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেন। ১৯৯১ সালে কোতোয়ালী আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেন। ১৯৯৪, ২০০০ এবং ২০০৫ এবং ২০১০ এ চট্টগ্রাম মহানগরীতে মেয়র পদে নির্বাচন করেন। জনাব মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সবগুলো নির্বাচনে সাথে ছিলেন। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা-আলহাজ¦ আ জ ম নাছির উদ্দীনকে মেয়র পদে মনোনয়ন দিলে জনাব মোছলেম উদ্দিন আহমদ আ জ ম নাছির উদ্দিন-কে সাথে নিয়ে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার চালান। মোট কথায় মোছলেম উদ্দিন আহমদ বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সহকর্মী ও সম্মুখ যোদ্ধা। তিনি আজীবন মাঠে ময়দানে সার্বক্ষনিক রাজনীতির সাথে ছিলেন।

এ নেতা ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০ জাতীয় কাউন্সিলে একজন কাউন্সিলার ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় পতাকা উত্তোলন করে সভা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৪৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ঘরে ফিরেছে এই নেতার নিথর দেহ। রাজনীতি ছাড়াও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা, ব্যবসা, সাংবাদিকতার সাথেও যুক্ত ছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা। তিনি ‘সাহসী ঠিকানা’ নামে সাপ্তাহিক পত্রিকাও সম্পাদনায় নিয়োজিত ছিলেন। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না ….. রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ কন্যা সন্তান রেখে যান।

৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. বেলা ১১ টায় ঢাকায় আওয়ামী লীগের ২৩ নং বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোছলেম উদ্দিন আহমদের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ হেলিকপ্টার যোগে তার জন্মস্থান বোয়ালখালী নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাদ আছর গোমদ-ী পাইলট স্কুল মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার মরদেহ আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যায় লালখান বাজার হিল সাইড আবাসিক এলাকার নিজ বাড়ি রওশন ইমন টাওয়ারে রাখা হয়।

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সর্বশেষ নামাজে জানায শেষে গরীবুল্লাহ শাহ (র.) মাজারস্থ কবরস্থানে দাফন করা হয়। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ নির্যাতনের শিকার এ নেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে পুরো চট্টগ্রামে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মোছলেম উদ্দিনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে থাকেন সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।

বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যু শোকে শোকাহত আওয়ামী পরিবার সহ সর্বশ্রেনি পেশার মানুষ। তার প্রতিটি নামাজে জানাযায় অংশ নিয়েছে হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ। আমার রাজনৈতিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই নেতার মৃত্যুতে পথ হারিয়েছি।

জীবনের পড়ন্ত সন্ধ্যায় নেতা এম.এ. মান্নান, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ইসহাক মিয়া ও মোছলেম উদ্দিন আহমদকে বড় বেশী মনে পড়ছে। আমার লেখাটি প্রিন্ট মিডিয়া ও ফেইসবুকে প্রেরিত হলো যদি ছাপানো হয়, যদি কারোর চোখে পড়ে তাহলে আমার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন আল্লাহ যেন ইজ্জতের সাথে পৃথিবী থেকে নিয়ে যান। আল্লাহ মরহুম জননেতা মোছলেম উদ্দিন আহমদের ভুলভ্রান্তি, দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করে তাকে বেহেস্তে স্থান করে দিন। আমীন।

এই বিভাগের সব খবর

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মিয়ানমারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে মিয়ানমারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত অং কিও মো আজ সাক্ষাত করেছেন। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকারসহ...

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছেন : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছে, সে কারণে আবোল তাবল বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল...

অক্টোবরে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন

চট্টগ্রাম মহানগরে আওয়ামী লীগের ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা কমিটির সম্মেলন আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যা শুরু হবে চলতি সপ্তাহ...

সর্বশেষ

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মিয়ানমারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে মিয়ানমারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত অং...

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছেন : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছে, সে কারণে আবোল তাবল...

অক্টোবরে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন

চট্টগ্রাম মহানগরে আওয়ামী লীগের ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা কমিটির...

চুয়েটের সাথে তিনটি সংস্থার সমঝোতা স্মারক

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)- এর সাথে সিগনাল...

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাই, পুলিশের এসআইকে হাতেনাতে ধরল জনতা

চট্টগ্রামে পাঁচলাইশ থানাধীন টাইগার পাস এলাকায় স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে...