সদ্য বিদায় নেওয়া ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এক মাসে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ মাসে ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা এক মাসের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়।
২০২১ সালের ডিসেম্বরেও ৪৯০ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। এ বছর নভেম্বরে প্রথমবারের মত এক মাসের রপ্তানি আয় ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। এই হিসাবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।
ডিসেম্বরে ৫৪২ কোটি ১০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল সরকার। তাতে রপ্তানির অর্জন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ০৩ শতাংশ পিছিয়ে থাকল।
ইপিবি প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মোট ২ হাজার ৭৩১ কোটি ১২ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখে চলা তৈরি পোশাক খাত ডিসেম্বরেও ভালো করেছে। গত ছয় মাস মিলিয়ে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ছয় মাসে এ খাতে মোট রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ২৯৯ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য। এর মধ্যে নিট পোশাক ১২৬৫ কোটি ৯৬ লাখ ডলার (১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি) উভেন পোশাক এক হাজার ৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার (১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি) এসেছে।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৬৩ কোটি ৭২ লাখ ডলারের, তাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ শতাংশ। আগের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৫৬ কোটি ৩৬ লাখ ডলার।
পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৪৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের; যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম। আগের অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে ৫৯ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
কৃষিপণ্য রপ্তানিও ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছে; এই খাত থেকে রপ্তানি হয়েছে ৫০ কোটি ১৯ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের ৬৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ।
ছয় মাসে মোট ১০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেয়েছে প্লাস্টিক খাত। গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৭ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য।