ঢাকায় মেট্রোরেল চালুর মধ্য দিয়ে গণপরিবহন-ব্যবস্থায় নতুন যুগের স‚চনা হলো। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে চড়েন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর যাত্রাসঙ্গী অন্য যাত্রীদের নিয়ে মেট্রোরেল দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও স্টেশনে আসে। মেট্রোরেলের এই প্রথম যাত্রায় চালক ছিলেন একজন নারী। তাঁর নাম মরিয়ম আফিজা। তিনি বলেছেন, ইতিহাসের অংশ হতে পেরে তিনি গর্বিত।
আগারগাঁও স্টেশনে মেট্রোরেল থামার পর আফিজার সঙ্গে কথা হয় গনমাধ্যমকে কর্মীদের। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ‘ট্রেন অপারেটর’ মরিয়ম আফিজা বলেন, দেশবাসী স্বপ্ন দেখেছিল। সেই স্বপ্ন আজ প‚রণ হলো। এ জন্য সবাই গর্বিত। তবে তাঁর গর্বের জায়গাটা একটু ভিন্ন। কারণ, মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রার চালক ছিলেন তিনি।
আফিজা আরও বলেন, ‘মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রায় আমি চালক ছিলাম। এই যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন যাত্রী। এটা আমার জন্য গর্বের ব্যাপার।’
মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রায় চালক হিসেবে বেছে নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান আফিজা।
উদ্বোধনী যাত্রার আগে দিয়াবাড়ি স্টেশন থেকে একটি অগ্রগতি ট্রেন আগারগাঁও যায়। পরে বেলা দুইটায় দিয়াবাড়ি থেকে মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করে। মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী মেট্রোরেল।
আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছানোর পর মেট্রোরেল থেকে হাসিমুখে নেমে আসেন প্রধানমন্ত্রী ও অন্য যাত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী নেমে আসার সময় উপস্থিত সবাই ‘জয় বাংলা’ বলে ¯েøাগান দেন।
মেট্রোরেলের প্রথম এই যাত্রার যাত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য ও নির্ধারিত কিছুসংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন। কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থীও মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রার যাত্রী হয়েছিল।
বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী দিয়াবাড়ি স্টেশনে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক যাত্রার স‚চনা করেন। এর আগে তিনি মেট্রোরেলের টিকিট (কার্ড) কেনেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। তিনিও টিকিট কেনেন।
মেট্রোরেলকে বাংলাদেশের উন্নয়ন–অগ্রযাত্রার আরেকটি পালক হিসেবে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা বাংলাদেশের অহংকারের আরেকটি পালক সংযোজন করতে পারলাম।’ মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে আজ দুপুরে দিয়াবাড়িতে আয়োজিত সুধী সমাবেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।