ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে সীতাকুণ্ড উপকূলে ভেসে আসা মহিষগুলো মালিকদের কাছে হস্তান্তর শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার সকাল থেকে দ্বিতীয় ধাপে মহিষ মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
শনিবার প্রথম ধাপে ৪৬টি মহিষ হস্তান্তর করা হয়।নিজেদের মহিষ ফিরে পেয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসনের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন মালিকরা।
মহিষের মালিক শরীয়ত উল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আমার ১০টি মহিষ ভেসে যায়। এরমধ্যে সাতটি ফিরে পেয়েছি। মহিষগুলো ফিরে পাবো কল্পনাও করিনি। উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
আরেক মালিক আলতাফ হোসেন বলেন, আমার ৪০টি মহিষের মধ্যে ১১টি পেয়েছি। বাকিগুলোর সন্ধান চলছে। কিছু মহিষ মারা গিয়েছে বলে ধারণা করছি। এছাড়া কিছু স্থানীয়রা ধরে ফেলেছেন বলে শুনেছি। তবু উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতার কারণে কিছু মহিষ পেয়েছি।
সীতাকুণ্ড ইউএনও শাহাদাত হোসেন বলেন, সীতাকুণ্ডে মহিষ ভেসে আসার খবর পেয়ে দ্রুত সেগুলো চেয়ারম্যানদের জিম্মায় নিয়ে তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, সোনাইছড়ি, ভাটিয়ারী ও সলিমপুর ইউনিয়ন থেকে পাওয়া তালিকায় ১৬১টি মহিষের সন্ধান পাই। এরপর সংশ্লিষ্ট থানার জিডি ও অন্যান্য প্রমাণপত্র সাপেক্ষে শনিবার থেকে মহিষগুলো মূল মালিকদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথমদিনে ৪৬টি মহিষ হস্তান্তর করা হয়। রোববারও আরো কিছু হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, সিত্রাং পরবর্তী সাগরিকা স্টেডিয়াম পশ্চিম পাশ্ববর্তী মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স সংলগ্ন সাগর পাড় এলাকাতেও কয়েকটি মহিষ ভেসে এসেছে। গতকাল শনিবার রাত ১০ টার একটি মহিষ দলছুট হয়ে স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশ্বস্থ এলাকায় চলে আসলে স্থানীয়রা সেটিকে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স সংলগ্ন রাস্তায় বেঁধে রেখে প্রশাসনকে অবহিত করেন। আজ রোববার পাহাড়হতলী থানা পুলিশ এসে মহিষটিকে উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে সন্দ্বীপ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সীতাকুণ্ড উপকূলে প্রায় দুই শতাধিক মহিষ ভেসে আসে।
ইউডি