তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মনে করে, জাতিগত উন্নয়নের জন্য শুধু বস্তুগত উন্নতিই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন আত্মিক উন্নয়ন। আর এক্ষেত্রে গণমাধ্যম অনেক বড় ভূমিকা রেখে জাতিকে এগিয়ে নিতে পারে।
গণমাধ্যম শুধু রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভই নয়, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের, সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘মানুষের মনন তৈরির ক্ষেত্রে, সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করা, সঠিক তথ্য দেওয়া এবং নতুন প্রজন্মকে তৈরি করে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে দেশ টিভির নতুন লোগো উন্মোচন ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এ সময় অতিথিদের সাথে নিয়ে দেশ টিভির নতুন লোগো উন্মোচন করেন তিনি।
১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর তার হাত ধরেই দেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয় উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার গণমাধ্যম বান্ধব, সমালোচনাকে সমাদৃত করে। আমরা মনে করি, জাতিগত উন্নয়নের জন্য শুধু বস্তুগত উন্নতিই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন আত্মিক উন্নয়ন। আর এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম অনেক বড় ভূমিকা রেখে জাতিকে এগিয়ে নিতে পারে।’
দেশ টিভি তাদের ১৩ বছরের পথচলায় বাঙালি সংস্কৃতিকে লালন ও সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী। দেশ টিভির চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের এমপি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ভাষার ক্ষেত্রে ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক, সঙ্গীতে আইয়ুব বাচ্চু, শিক্ষায় অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, সাংবাদিকতায় মিজানুর রহমান খান (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে সুবীর নন্দী (মরণোত্তর), খেলাধুলায় মারিয়া মান্ডা ও জিঙ্গেল কুইন সুমনা হককে সম্মাননা জানানো হয়।