রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে এনআইডি প্রদানের ঘটনায় স্কুলের চাকুরীচু্ত প্রধান শিক্ষক ও ৫ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি কার্ড তৈরির ফরম-২ এবং জন্মনিবন্ধন ফরম উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) হালিশহর হাউজিং এস্টেট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. কামাল হোসেন ওরফে মোহাম্মদ (৪৫), পারভীন আক্তার (২৫), মো. নুরুল আবছার (২৮), শামসুর রহমান ওরফে শামসু মাস্টার (৬০), মো. ইয়াছিন আরাফাত (২২), নির্বাচন কমিশনের চুক্তিবদ্ধ ডাটা এন্ট্রি অপরাটের মো. নুর নবী ওরফে রাহাত (২৫), মো. মিজানুর রহমান (২৩), ফরহাদুল ইসলাম (২৮), ইমন দাশ (২০) ও মো. কামাল (৪২)। এদের মধ্যে মো. কামাল হোসেন ও পারভীন আক্তার রোহিঙ্গা।
শামসুর রহমান কক্সবাজারের পোকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেন। রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড তৈরির কাজে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তিনি চাকরিচ্যুত হন। রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড তৈরিতে যুক্ত থাকায় তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছিল।
পুলিশ জানায়, আসামি শামসু মাস্টার কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের সংগ্রহ করে আসামি নুরুল আবছারের কাছে পাঠাতো। পরে নুরুল আবছার ওই রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে দিতো। এই কাজে তাকে সহায়তা করতো নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপরাটের। এই চক্রটি দীর্ঘদিন বিভিন্ন প্রকার জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের এনআইডিসহ বিভিন্ন প্রকার ডকুমেন্ট তৈরি করে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ চক্রের আরও অনেক সদস্য আছে যাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।এই চক্রকে আটকের জন্য ডিবি দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছিল। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় আমরা এই চক্রের সদস্যদের আটক করতে সক্ষম হই।
ইমা