ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে শতাধিক চিংড়ি প্রকল্পের কোটি কোটি টাকার মাছ। পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক চালিয়েতলী মাতারবাড়ি সড়ক। অনুমানিক ৫ হাজার একর আমন ফসলের আধাপাকা ধান মাঠেই দেবে পড়েছে। গাছ চাপা পড়ে একই পরিবারের আহত হয়েছে নারী শিশুসহ ৪ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাতারবাড়ীতে বেড়িবাঁধ ডিঙ্গিয়ে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশের ফলে সাইট পাড়া, উত্তর সিকদার পাড়া, সাইরারডেইল, উত্তর রাজঘাট, ওয়াপদা পাড়া প্লাবিত হয়েছে। ধলঘাটা ইউনিয়নের মহুরিঘোনাস্থ বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করায় ওই ইউনিয়নের অধিকাংশ জায়গা প্লাবিত হয়েছে। ধলঘাটা ও মাতারবাড়ি দুই ইউনিয়নে অন্তত ২০টি প্রকল্প তলিয়ে গেছে জোয়ারের পানিতে।
অপরদিকে উপজেলার ছোটমহেশখালী ইউনিয়নের কালালিয়া পাড়ায় সোমবার রাতে বসত ঘরের উপর গাছচাপায় একই পরিবারে আহত হয়েছে ৩ জন। আহতরা হলেন, উক্ত গ্রামের সোলেমানের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৪৫) মেয়ে মিশু (২৪) তাসমিন (২০)।এছাড়া উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপ, ঘটিভাঙ্গা ও হোয়ানক ইউনিয়নে অন্তত ৬০টি চিংড়ি প্রকল্প তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিংড়ি চাষিরা।
ইমা