চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ড্রেজার ডুবে নিখোঁজ শ্রমিকদের মধ্যে আরও তিন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৪ জন।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালে মরদেহ ৩টি উদ্ধার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুর রহমান।
উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো হলো- পটুয়াখালী সদর উপজেলার চর জৈনকাঠি গ্রামের আনিচ মোল্লার ছেলে ইমাম মোল্লা, আব্দুল হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মোল্লা ও সেকান্দার বারীর ছেলে জাহিদ বারী।
তিনি বলেন, উদ্ধারকারী ডুবুরি দল সাগরে ডুবে যাওয়া ড্রেজার থেকে বুধবার সকালে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে চারজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারি বলেন, মঙ্গলবার রাতে একজনের মরদেহ উদ্ধারের পর রাত ১২টায় উদ্ধার সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। পুনরায় আজ সকাল ৯টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এরই মধ্যে আরও তিন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদেরও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ঝড়ো হওয়ায় ড্রেজার মেশিন সৈকত-২ পানিতে ভেসে গিয়ে ডুবে যায়। এসময় ড্রেজারের অবস্থান করা ৮ শ্রমিক নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ শ্রমিকদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নে।
সোমবার রাতে নিরাপদে উপকূলে ফিরে আসা শ্রমিক আব্দুস সালাম জানান, সৈকত ২ ড্রেজারটিতে তিনিসহ মোট ৯ জন শ্রমিক ছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি পাশের ড্রেজারের শ্রমিকদের সঙ্গে উপকূলে চলে আসেন। অন্যরা ড্রেজারে থেকে যায়।