ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ভোগ্য পণ্যের বাজার চাকতাই ও খাতুনগঞ্জের শতাধিক আড়ত ও গুদামের পণ্য। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার মধ্যরাতে মালামাল রক্ষায় প্রাণান্ত চেষ্টা করেও সব পণ্য রক্ষা করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পেতে স্লুইচ গেটের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি করেছেন তারা।
সোমবার (২৪শে অক্টোবর) মধ্যরাতে এভাবেই চাকতাই ও খাতুনগঞ্জের বেশিরভাগ দোকান, আড়ত ও গুদামে ঢুকে পড়ে জোয়ারের পানি। প্রায় শতাধিক খাদ্য গুদাম ও আড়তে জোয়ারের পানি ঢোকায় পেঁয়াজ, আদা, রসুন, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্যের বস্তা ডুবে যায়। এসময় ডুবে যাওয়া বেশিরভাগ বস্তার পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। রাতে দ্রুত পানি ঢুকে পড়ায় মালামাল নিরাপদ স্থানে সরাতে পারেনি অনেকে।
আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে পানি নামতে শুরু করলেও দুপুর পর্যন্ত বেশ কিছু দোকানের ভেতর পানি জমে থাকতে দেখা যায়। পানিতে ডুবে কয়েক কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। জোয়ারের পানি বন্ধে চাকতাই ও খাতুনগঞ্জের অংশে স্লুইচ গেট নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, জোয়ারের পানি বাড়লে এসব এলাকা তলিয়ে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান উলাহ জাহেদী দাবি করেন, জোয়ারের কারণে কোটি কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়েছে চাকতাই ও খাতুনগঞ্জে।
এদিকে, চট্টগ্রাম ও আশেপাশের জেলায় সিত্রাং এর ফলে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।