অধিকৃত পশ্চিম তীরের কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর এসব অভিযানে আরও ২১ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের এক মুখপাত্রের ভাষ্যের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নাবলুস শহরে হামলা চালায়, ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র যোদ্ধারা তাদের চিহ্নিত করে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তাদের মধ্যে একজন নিরস্ত্র ছিল। নিহতদের সবার বয়স ২৬ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।
মন্ত্রণালয়টি পরে জানায়, রামাল্লা শহরের কাছে নাবি সালেহ গ্রামে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আরও এক ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত হয়। নিহত এ তরুণের বয়স ১৯ বছর বলে মন্ত্রণালয়টির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের গঠন করা লায়ন্স ডেন গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় শহর নাবলুসে অভিযানে নামে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীটি চলতি মাসের প্রথমদিকে গুলি করে এক ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছিল।
২১ বছর বয়সী ওই সেনার হত্যাকারীদের খোঁজে নিবিড় তল্লাশি চালাতে গত দুই সপ্তাহ ধরে নাবলুস লকডাউন করে রেখেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) । শহরটি থেকে আট কিলোমিটার দূরে ইসরায়েলি এক বসতির কাছে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে ওই সেনাকে হত্যা করা হয়েছিল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বাহিনীগুলো নাবলুসে অভিযান চালাচ্ছে; এর বাইরে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো আল জাজিরাকে বলেছে, নাবলুস শহরের কেন্দ্রস্থল দেখা যায় এমন বাড়ি ও ভবনগুলোর ছাদে ইসরায়েলি স্নাইপাররা অবস্থান নিয়েছে এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য ড্রোন ব্যবহার করছে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ‘জনগণের বিরুদ্ধে এই আগ্রাসন বন্ধ করতে জরুরি যোগাযোগ’ চালু করেছেন বলে তার মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি টেলিভিশনকে রুদেইনেহ বলেন, “এসবের ফলাফল বিপজ্জনক ও ধ্বংসাত্মক হতে পারে।”
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, আল কারিয়ুন এলাকা থেকে আহতদের বের করে নিয়ে আসতে চাইলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের চিকিৎসা কর্মীদের বাধা দেয়।
ইউডি