চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ঝুঁকিপূর্ণ সেই ঝর্ণাটির চারিদিকে সীমানা দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার সীমিত করার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে ঝর্ণার চারিদিকে সীমানা দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
চবি’র প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, পাহাড়ি ঝর্ণা এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ। সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কারো প্রাণহানি আমরা চাই না। সাঁতার না জেনে ঝর্ণাতে নামার কারণে প্রাণহানি ঘটছে। বাউন্ডারি ওয়াল আমরা একেবারে উঁচু করে নির্মাণ করবো না। দেয়ালের বাইরে থেকে যাতে পাহাড়ের সৌন্দর্য অবলোকন করা যায় সেই ব্যবস্থা রাখা হবে। বাউন্ডারি দেয়াল করে সেখানে সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হবে। এটা যে ঝুকিপূর্ণ এলাকা এবং এখানে যেন মানুষের চলাচল সীমিত থাকে সেজন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।
২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর এই ঝরনা এলাকাটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করে সেখানে সাইনবোর্ড বসিয়ে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিনা অনুমতিতে ঝর্ণা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নির্দেশনা লংঘন করে দর্শনার্থীরা ঝর্ণায় নেমে পড়ে। ২০১৫ সাল থেকে এই পর্যন্ত সেই ঝর্ণায় ডুবে ৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
গত ১৬ অক্টোবর বন্ধুদের সাথে ঝর্ণায় সাঁতার কাটতে নেমে প্রাণ হারান রাকিবুর রশিদ জিসান নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী।
ইউডি