চট্টগ্রাম মহানগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় স্বামীর সহযোগিতায় ভাসুরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধু। এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামী ও তার বড় ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গৃহবধুর অভিযোগ, স্বামী সিরাজুল ইসলামের সহযোগিতায় বিকৃত যৌনাচার চালাতেন ভাসুর ইব্রাহিম রনি।
পরে রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে দুই আসামিকে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হালিমের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কোতোয়ালী থানার ফিরিঙ্গাবাজার এলাকার এই ঘটনায় গৃহবধু বাদি হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে, শনিবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ফিরিঙ্গী বাজার মসজিদ ভিটা এলাকা থেকে দুই আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই সামাজিকভাবে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় ভুক্তভোগী নারীর। সিরাজ বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রীর হাত-পা ও চোখ বেঁধে রুম অন্ধকার করে বিকৃতভাবে সহবাস করতো। চোখ বাঁধার কারণে কে সহবাস করতো তা দেখতে পারতো না গৃহবধু। প্রথমদিকে স্বামীই সহবাস করছে মনে করতেন তিনি। কিন্তু প্রথমদিকে সন্দেহ না করলেও পরবর্তীতে গৃহবধুর সন্দেহ হতে থাকে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর একই কায়দায় অন্ধকার কক্ষে বিকৃতভাবে সহবাস করতে গেলে একপর্যায়ে তার হাতের বাঁধন খুলে যায়। চোখের কাপড় সরিয়ে দেখতে পায় ভাশুর মো. ইব্রাহিম রনিকে। এই বিষয়ে স্বামী সিরাজের কাছে জানতে চাইলে উল্টো গৃহবধুকে মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯ (১) ধারায় গৃহবধু বাদি হয়ে মামলা করেন।
কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার বলেন, ফিরিঙ্গাবাজার এলাকায় এক গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে গৃহবধুর স্বামী ও তার ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে দুই আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে হাজির করা হয়। আদালত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানি আগামী মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দিন ধার্য করেছেন।
ইউডি