চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বাকিদেরও শনাক্ত করতে কাজ চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলছে না প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তিনি বলেন, আগামী রোববার আমরা বিস্তারিত জানাবো। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করতে পেরেছে। এখনই আমরা কিছু বলতে চাচ্ছি না। অপরাধী কাউকে আমরা ছাড় দিব না।
এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, আমরা ১০টার আগে মেয়েদের হলে প্রবেশ করতে কোনো নির্দেশনা দিইনি। প্রভোস্ট কমিটির মিটিংয়ে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোনো নির্দেশনা, সিদ্ধান্ত কিংবা বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগেই আন্দোলন করছে আমাদের মেয়েরা। আমরাতো তাদের অভিভাবক, তাই মেনে নিয়েছি ওদের সবকিছু।
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, এগুলো বাড়ার পিছনে শুধুমাত্র বিচারহীনতার সংস্কৃতি বলা যাবে না। আমরা অপরাধ করলে শাস্তি দিচ্ছি। হল খোলার আগে বিভিন্ন সংগঠনের মারামারির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১২ জনকে বহিষ্কার করেছে।
তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, যৌন নিপীড়নের ঘটনায় আমরা একটা প্রাথমিক তদন্ত করে হাইকোর্টের নির্দেশিত অভিযোগ কমিটিকে হস্তান্তর করি। তারা আবার জড়িতদের সাক্ষাৎকার নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্টগুলো তৈরি করে। তবে ওনাদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তারা শুধু অভিযোগ গঠন করবে। তারা অভিযোগটি হাইকোর্ট নির্দেশিত যৌন নিপীড়ন কমিটিকে হস্তান্তর করবে।
এই কমিটির সদস্য সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক না। এখানে ইউজিসির সদস্য আছেন, চুয়েট থেকে আছেন, লয়ার আছেন, মানবাধিকার কর্মী আছে। সবাইকে একোমোডেট করে এই মিটিংগুলো করতে হয়, যেন কোনো নির্দোষ ব্যক্তি শাস্তি না পান বা কেউ কাউকে ফাঁসিয়ে দিতে না পারে। সেই জায়গা থেকে সময় নিয়ে নির্দিষ্টভাবে সবাইকে আইডেন্টিফাই করা হচ্ছে।
প্রক্টর বলেন, যৌন নিপীড়নের ঘটনাগুলোর রিপোর্ট ফাইনাল স্টেজে আছে, আমি অনেকবার খবর নিয়েছি। আর দুয়েকটা ফাইনাল মিটিং হলেই ওনারা কার দোষ কতটুকু বা কার কী শাস্তি হবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এই কমিটির সবাই যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের না, তাই সবাইকে সবার অফিসের কাজ গুছিয়ে এসে মিটিং করতে একটু বিলম্ব হতে পারে।