শেষ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ছয় উপজেলার ১৮ ইউপিতে ৯টিতে নৌকার প্রার্থী ও ৯টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারি ভাবে জয় পেয়েছেন। বুধবার ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
এতে দেখা যায়, বাঁশখালী উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের সাতটিতে জিতেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। অন্য ছয়টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন- খানখানাবাদ ইউনিয়নে জসিম উদ্দিন হায়দার, বাহারছড়া ইউনিয়নে তাজুল ইসলাম, সরল ইউনিয়নে রশিদ আহমদ চৌধুরী, কালীপুর ইউনিয়নে আ.ন.ম শাহাদাত আলম, বৈলছড়ি ইউনিয়নে মো. কপিল উদ্দিন, কাথরিয়া ইউনিয়নে ইবনে আমিন ও শীলকূপ ইউনিয়নে কায়েশ সরোয়ার সুমন।
স্বতন্ত্র পদে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- পুকুরিয়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আসহাব উদ্দিন, সাধনপুর ইউনিয়নে অটোরিকশা প্রতীকের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন কামাল, গণ্ডামারা ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী, ছনুয়া ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে হারুণ অর রশিদ, পুঁইছড়ি ইউনিয়নে অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে তারেকু রহমান তারেক ও শেখেরখীল ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা মোরশেদ ফারুকী।
অন্যদিকে পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রশিদ দৌলতি, কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাজী ছাবের আহমদ, আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী বাবুল, ফটিকছড়ি উপজেলা ভুঁজপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী এস এম এইচ শাহজাহান চৌধুরী, হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শওকত আলম শওকত বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।
এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় শেষ হয় বিকেল ৪টায়। নির্বাচনে পটিয়ার ছনহরা ও আনোয়ার পরৈকোড়া ইউনিয়নে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হলেও বাকি ১৬টি ইউপিতে ইভিএম মেশিনে ভোট হয়।
চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিও ছিল বেশ লক্ষণীয়।