ফটিকছড়িতে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে হালদা,ধুরুং,সর্তাসহ বিভিন্ন খাল নদীর পানি। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার দাঁতমারা, নারায়নহাট, ভুজপুর, সুয়াবিল, লেলাং, রোসাংগিরী, সমিতিরহাট,ধর্মপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে রয়েছে বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
এছাড়া গহিরা হেঁয়াকো সড়কের বিভিন্ন স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে গ্রামীণ সড়কগুলো পানিতে ডুবে রয়েছে। পানির স্রোতে ভেসে গেল নাজিরহাট পৌরসভা ও সুন্দরপুর ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী হালদা নদীর উপর নির্মিত কাঠের সেতুটি। পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়েছে দুপাড়ের বাসিন্দারা। এদিকে হালদা ধুরুংসহ বিভিন্ন খাল নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। বৃষ্টি অব্যাহত থালে ভয়াবহ বন্যার শংকায় রয়েছেন তারা। এছাড়া নারায়নহাটে কয়েক গ্রামের মানুষ পানিতে বন্দী হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেন। সর্তা খালের বাঁধ ভেঙ্গে ধর্মপুর ইউনিয়নর কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা সোলাইমান আকাশ। বিভিন্ন এলাকায় মাছের ঘের ও ফসলের জমি পানিতে ডুবে গেছে বলে জানা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি বিজ্ঞান শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফা নাসরিন বলেন, হালদা নদীর নারায়ণহাট পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে তা রাতের মধ্যেই বিপৎসীমা অতিক্রম করবে বলে জানান তিনি। ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, পর্যাপ্ত চালসহ বন্যা মোকাবেলার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য,গত বছর বন্যায় ফটিকছড়িতে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এ ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেকে