প্রাকৃতিক মৎস্য অভয়ারণ্য ও মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী হতে ৪৩ তম গাঙ্গেয় ডলফিন (শুশুক) উদ্ধার করা হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর (বুধবার) বেলা ১২ টার দিকে হালদা নদীর রাউজান উপজেলার অংশের আজিমের ঘাট এলাকা হতে নদীতে ভাসমান অবস্থায় অর্ধগলিত ডলফিনটি উদ্ধার হয়।
রাউজান উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, রোসাঙ্গীর আলম নামের একজন স্বেচ্ছাসেবক মাধ্যমে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় ডলফিনটি উদ্ধার করি। এটা নদী হতে উদ্ধার পর পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সুরতহাল করি। পরে অর্ধগলিত হওয়ার কারণে নদী পাড়ে মাটিতে চাপা দিয়। এটার ওজন প্রায় ১৩ কেজি ৩৯০গ্রাম। দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ ফুট। বয়স খুবই কম। এর গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। ধারণা করা হয়ে হালদা ও কর্ণফুলীর মোহনায় ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও ড্রেজার হতে নিঃসৃত তেলের দূষণে ৪-৫ দিন পূর্বে ডলফিনটির মৃত হতে পারে। জোয়ারের পানি ভেসে মৃত ডলফিনটি আজিমের ঘাট এলাকায় চলে আসে।
তিনি আরো বলেন, নিজস্ব নৌযান না থাকা এবং জনবল কম থাকার কারণে হালদা নদী নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। একারণে হালদা নদী দূষণ, মা মাছ নিধনের মত ঘটনা ঘটেছে। হালদা নদী গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে ডলফিনটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। উদ্ধারকৃত ডলফিনটি পচে যাওয়ায় মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। এখানে উল্লেখ্য যে, এটি তরুণ বয়সের ডলফিন এবং ২০২৪ সালের মধ্যে চতুর্থ মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে ৪৩তম ডলফিন উদ্ধার করা হয়।