চট্টগ্রাম আগ্রাবাদস্থ সরকারি কার্যভবন-২ এ অবস্থিত জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ে বুধবার (১৩ নভেম্বর) থেকে চালু হয়েছে মাইগ্রেশন ও এন্টি- ট্রাফিকিং তথ্য কেন্দ্র। এ কেন্দ্র থেকে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিগণ সংশ্লিষ্ট ১৩টি তথ্যসহ বিদেশ গমনের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ ও জেনে নিতে পারবেন। এ কেন্দ্র বিদেশ গিয়ে বিপদে পড়াসহ মানব পাচার রোধে সহায়ক হবে।
জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সম্মেলন কক্ষে Winrock international and District Employment and Manpower Office Chattogram (DEMO) এর সহায়তায় এবং USAID এর অর্থায়নে Migration and Anti-Trafficking Information Center (MTIC) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে USAID’র Fight Slavery and Trafficiking-in-persons(FSTIP) বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, Winrock international সচেতনতা বৃদ্ধি, বাল্য বিবাহ রোধ, মানব পাচার, প্রসিকিউটরদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের নানা প্রকল্পের সাথে নতুন প্রকল্প MTIC এর উদ্বোধন দেশের মানুষের জীবনের ভাগ্য পরিবর্তনে সাহায্য করবে। কারণ গ্রামের মানুষ জানে না বিদেশ যেতে হলে কোথায় গিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। কিন্তু এ কেন্দ্র চালু হওয়ার ফলে মানুষ বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং মানব পাচার রোধ হবে।
আলোচনা সভায় কর্মসংস্থান অফিসের এর সহকারী পরিচালক মহেন্দ্র চাকমা’র সভাপতিত্বে সহকারী কমিশনার শাহীদ ইশরাক, ইউএসআইডির FSTIP প্রধান সুসান স্টেম্পার, ডেপুটি প্রধান এইচ এম নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ২০২১ সালে USAID এর অর্থায়নে প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়। এটি বর্তমানে ২৬ টি জেলার ১০১টি উপজেলার ৪২৪টি ইউনিয়নে চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পটির মেয়াদ ৫ বছর। এটার মূল লক্ষ্য হলো বিদেশগামীদের সঠিক প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করা । গ্রাম পর্যায়ে এটার কাজের পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে যাতে করে গ্রামের সহজ সরল মানুষকে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করা যায়। এর কার্যক্রম প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে দিতে প্রত্যেকটা ইউনিয়নে ৬ জন করে পিআর লিডার নিয়োগ করা হচ্ছে। এতে আরো বলা হয়-বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে ১৩ টি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। বৈধ উপায়ে ও নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার জন্য দক্ষতা প্রয়োজন, এছাড়াও গন্তব্য দেশের ভাষা ও রীতি-নীতি জানতে হবে। সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে বিদেশ গেলে দেশ ও পরিবারের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।